আবরার আবদুল্লাহ
বিশেষ প্রতিবেদক
গ্রিক মিডিয়া বলছে, দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের একটি হত্যা প্রচেষ্টা বানচাল করতে সক্ষম হয়েছে। তারা একজন সন্ত্রাসীকেও আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
মিডিয়া বলছে, চরমপন্থী সংগঠন নাইন রেভ্যুলোশনারি পিপলস লিবারেশন পার্টি (ডিএইচকেপি-সি) এ হামলার গভীর ষড়যন্ত্র করেছিল।
গত সপ্তাহে এরদোগানের গ্রিক সফরের সময় এ হামলার ষড়যন্ত্র করা হয়।
গ্রিসের নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, এরদোগানের উপর হামলার জন্য রকেট লাঞ্চার, গ্রেনেড ও ককটেল বোমা প্রস্তুত করেছিলো সন্ত্রাসীরা। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এথেন্সের নিকটবর্তী পারনিথা পাহাড় থেকে এসব গোলা বারুদ উদ্ধার করেছে।
সন্ত্রাসীরা এরদোগানের গাড়ি বহরে ত্রিমুখী হামলার পরিকল্পনা করেছিলো।
গত ২৮ নভেম্বর নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে অভিযুক্ত ব্যক্তি গ্রেফতার হন। এরদোগান ৭ ও ৮ ডিসেম্বর গ্রিস সফর করেন।
গ্রেফতার হওয়ার হাসান বাবর
গ্রেফতার হওয়ার চরমপন্থীর নাম হাসান বাবর। সে ২০১৩ সালে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় একটি সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলো। সে হামলায় তুরস্কের ক্ষমতাসীন পার্টির (একে পার্টি) প্রধান কার্যালয় ও আইন মন্ত্রণালয় ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর ২০১৪ সালে নৌকাযোগে গ্রিস পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, তুরস্কের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে গ্রিসেই চরমপন্থী সংগঠন ডিএইচকেপি-সি সবচেয়ে সক্রিয়। তুরস্ক এ সংগঠনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
অতি বামপন্থী সংগঠনটি ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮০ সালে তারা প্রকাশ্যে কাজ শুরু করে এবং ১৯৯০ সালে গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়। তুরস্কের বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার জন্য ডিএইচকেপি-সিকে দায়ী করা হয়।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ
তুরস্ক ও উম্মাহ’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব: একটি বিবেচ্য বিষয়