আওয়ার ইসলাম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ত্যাগের মহিমায় তরুণ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। এক মুহূর্তের জন্যও এটা ভোলা যাবে না আমরা বিজয়ী জাতি, বীরের জাতি। আমরা মাথা নত করে চলি না। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।
৪৭তম বিজয় দিবস উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারাই দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে তারা যুদ্ধ করেছিলেন, তাই তাদেরকে লাখো সালাম জানাই। এ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণও দিয়েছেন এখানেই। এ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক স্থান।
‘পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি দেশের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ, তারা আমাকে ও আওয়ামী লীগকে আবারও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে পরিচালনার সুযোগ করে দিয়েছেন। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে।
২০২১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তার কথায়, দেশের প্রতিটি মানুষ যেন যুগ যুগ ধরে এ আনন্দ উৎসব করে যেতে পারে সেটাই চাই। আর যেন কোনো অন্যায়-অবিচার দেশে না হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ।
ভিডিও কনফারেন্সের সময় গণভবনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।