আওয়ার ইসলাম: হাইকোর্ট বলেছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ড দেশের ইতিহাসের নৃশংস ঘটনা। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও শান্তি বিনষ্টের যড়যন্ত্র করা হয়েছিল। উদ্দেশ্যে ছিলো সেনাবাহিনির চেইন অব কমান্ড ধ্বংস করা।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বিশেষ বেঞ্চে পিলখানা হত্যামামলার রায় পড়া শুরু হয়। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন বিডিআরের সদর দফতর পিলখানায় সংঘটিত নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ছিলো দেশের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত।
এর আগে রবিবারের হাইকোর্টের দৈনন্দিন কার্যতালিকার এক নম্বর ক্রমিকে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য রাখা হয়।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনির সদর দফতরে রক্তাক্ত বিদ্রোহের এই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। এ ঘটনায় সাড়ে ৮০০ আসামির মধ্যে ১৬১ জনকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
পাশাপাশি অস্ত্র লুটের দায়ে তাদের আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জারিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক। এছাড়া ২৫৬ আসামিকে তিন থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়া হয়। কারও কারও সাজার আদেশ হয় একাধিক ধারায়।