আওয়ার ইসলাম: রাজধানীর তাবলীগ জামাতের মারকাজ কাকরাইলে হঠাৎ বিশেষ একটি মহল উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কাকরাইলে অবস্থানরত মুরুব্বীরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সচেষ্ট হয়েছেন বলে কাকরাইলের একাধিক সূত্র আওয়ার ইসলামকে নিশ্চিত করেছেন।
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশকেও খবর দেয়া হয়।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে ৫ দিনের জোড়ে নারায়ণগঞ্জ সাথীদের স্টেজের সামনে থাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়৷ হাতাহাতিসহ বিষয়টি নিয়ে কিছুটা উত্তেজনাও ছড়ায়৷ তবে বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এটি কোনো মুরুব্বীদের দ্বন্দ্বের বিষয় ছিল না৷ বরং তৃতীয় একটি মহলের উশৃঙ্খলা তৈরির অপচেষ্টা বলে জানিয়েছেন কাকরাইলের একাধিক যিম্মাদার৷
কাকারাইলের মুরব্বি মাওলানা যুবায়ের আহমদসহ উলামায়ে কেরাম এবং মুরব্বি ওয়াসিফুর রহমানসহ সবাই নিজ আমলে মারকাজেই অবস্থান করছেন এবং পরিস্থিতি শান্ত করতে সক্ষম হয়েছেন।
পাকিস্তানের ইজতেমা শেষে গতকাল বিকাল চারটায় ঢাকায় পৌঁছেছেন মাওলানা যুবায়ের আহমদ।
বেশ কিছুদিন আগেই শূরার সিদ্ধান্ত ছিল, নারায়ণগঞ্জের তবলীগের সাথীরা ৫ দিনের জোড় ইজতেমায় স্টেজের কাছাকাছি জায়গা পাবে, তবে এবার বরিশাল ভোলার সাথীরা সামনে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করে। ঢাকার সাথী এবং নারায়ণগঞ্জের সাথীরা বিষয়টি মুরব্বিদের সিদ্ধান্ত বলে মেনে নেন। বিশেষ একটি মহল বিষয়টিকে কেন্দ্র করে কাকরাইলের পরিবেশ অপ্রীতিকর করার চেষ্টা করে এবং মুরব্বিদের দুই ভাগে ভাগ করার জন্য এটিকে ইস্যু হিসেবে সামনে আনে।
তবে কাকরাইল সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে মুরব্বিরা মোটেও গ্রুপিং বা দূরত্ব তৈরি করতে চাচ্ছেন না। বরং দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকার ও উলামায়ে কেরামের মধ্যস্ততায় কাকরাইলের অভ্যন্তরীন সব বিষয়ে সমাধানের পথ খুঁজছেন। এ বিষয়ে আগামী ১৬ নভেম্বর ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে কাকরাইলের শূরা এবং উলামায়ে কেরামের বৈঠকও রয়েছে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়, কাকরাইলে ঢাকা জেলার ডিসি, রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি এবং কাকরাইলের মুরব্বিরা বিষয়টি সমাধানে বৈঠকে বসেছেন।
আসছে রবিউল আওয়াল, জীবনের শ্রেষ্ঠ চিঠিটা নবীজিকেই লিখুন