শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস

৫০০ হিন্দুকে গ্রহণ ও পাকা ধান কাটার নির্দেশ সুচি’র

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বর্মী নেত্রী অং সান সুচি রাখাইন সফরে গিয়ে অবিলম্বে ৫শ’ হিন্দুকে গ্রহণ এবং রাখাইনের ক্ষেত থেকে পাকা ধান কাটার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন।

কিন্তু বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা এবং বিদেশি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মাঠে-ময়দানে কোথাও পাকা ধান চোখে পড়ে না। কারণ সবই পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

রাখাইনের মুখ্যমন্ত্রী নাই পু বলেছেন, তার সরকার বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া ৫০০ হিন্দুকে রাখাইনে আশ্রয় প্রদানের পরিকল্পনা করছেন।

ধারণা করা হচ্ছে বর্মী নেত্রী অং সান সুচির গত ২ নভেম্বরের সফরকালে ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রায় ৫৪০টি হিন্দু পরিবারকে মংডুর মিঙ্গি গ্রামে আশ্রয় দেয়া হবে।

‘বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পরে প্রথমবারের মতো আমাদেরকে বলা হয়েছে (কেন্দ্রীয় সরকার) ৫শ’ হিন্দুকে গ্রহণ করার একটি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’

মুখ্যমন্ত্রীর বরাতে এই খবর দিয়েছে ইলেভেন মিয়ানমার ডটকম নামের একটি বর্মী ওয়েবসাইট। তাদের রিপোর্টের শিরোনাম হলো ‘বাংলাদেশ প্রত্যাগত ৫শ’ হিন্দুকে গ্রহণ করার পরিকল্পনা চলছে কিন্তু কোনো মুসলিমকে নয়’।

৪ নভেম্বরের ওই রিপোর্টে মুখ্যমন্ত্রীর বরাতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, জাতিসংঘের রিপোর্ট মতে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৫ লাখের বেশি উদ্বাস্তু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে গেছেন।

রাখাইন রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় সুচি বলেছেন, পুনর্বাসন ও টেকসই উন্নয়নে রাজ্য সরকারকে সব রকম পদক্ষেপ নিতে হবে।

রিপোর্টে আরো বলা হয়, অং সান সুচি কথিতমতে রাজ্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, এখন অগ্রাধিকার দিতে হবে ধান কাটা ও উদ্বাস্তুদের গ্রহণ করার বিষয়ে।

তুয়াংপু লেতউতে পৌঁছে অং সান সুচি প্রস্তাবিত উদ্বাস্তু পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর জন্য নির্বাচিত স্থান পরিদর্শন করেন। সুচি নির্দেশ দিয়েছেন যে, উদ্বাস্তুরা আসার পরপরই যথাশিগগির সম্ভব তারা তাদের আদিনিবাসে চলে যাবেন।

উল্লেখ্য যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ‘কূটনৈতিক সমাধানে’ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এরকম কথা অং সান সুচিও বলেছেন। রাখাইনের রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি সিটিউ বিমান বন্দরের লাউঞ্জে বৈঠক করছিলেন।

এসময় তিনি নির্দেশ দেন যে, কর্মকর্তাদের প্রত্যেককে তিনটি কৌশল রপ্ত করতে হবে। প্রথমত কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান। উন্নয়ন ও পুনর্গঠন এবং নিরাপত্তা।

অং সান সুচি তার সফরকালে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া আরো ভালোভাবে তৈরি করার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি প্রত্যাগত উদ্বাস্তুদের পদ্ধতিগতভাবে গ্রহণ করার পথও বাতলে দিয়েছেন।

সূত্র: মানবজমিন


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ