আওয়ার ইসলাম : যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিমন হেনশ বলেন, রাখাইনে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রেহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব মিয়ানমারের। আজ ঢাকার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশ সফররত এক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, উদ্বাস্তু ও অভিবাসন ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “(রোহিঙ্গাদের) প্রত্যাবাসনের দায়-দায়িত্ব মিয়ানমার সরকারের। প্রক্রিয়া শুরুর দায় তাদের। মানুষগুলো যেন স্বেচ্ছায় ফিরতে পারে সেজন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত এলাকা দেওয়ার বিষয়টি তাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, ‘একসঙ্গেবিপুল সংখ্যক মানুষের পালিয়ে আসা নিঃসন্দেহে একটি গুরুতর বিষয়। এ বিষয়ে আমরা একাধিকবার মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে এসেছে। ঢাকায় আমরা বাংলাদেশ সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গেও এ ব্যাপারে আলোচনা করেছি।
শরণার্থী শিবিরগুলোর পরিস্থিতি নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি বেদনাদায়ক। মিয়ানমারকে অবশ্যই নিরাপদ ও স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; যাতে রোহিঙ্গারা তাদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে পারে।’
এর আগে শুক্রবার দুপুরে তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। তিনি ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি দেখেন এবং রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।
তার সঙ্গে থাকা প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি স্কট বাসবি, দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি টম ভাজদা, পূর্ব-এশিয়া ও প্যাসিফিক বিষয়ক ব্যুরোর অফিস ডিরেক্টর প্যাট্রিসিয়া মাহোনি।
বাংলাদেশ সফর শেষে মার্কিন প্রতিনিধিদলটি একইভাবে মিয়ানমার সফর করবে। দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে তারা রাখাইনে শর্তহীনভাবে ত্রাণ সংস্থা ও সংবাদকর্মীদের প্রবেশের অনুমতি চাইবে। এছাড়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সসম্মানে ও
রাখাইন রাজ্যের গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, জ্বালাও-পোড়াওয়ের মধ্যে গত ২৫ অগাস্ট থেকে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে আরও চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে।
শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হেদার নোয়ার্ট এবং ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট উপস্থিত ছিলেন।
আরএম