আওয়ার ইসলাম : মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বর্বর নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিচ্ছে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বিভিন্ন চরে অবস্থানরত মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও তাদের অনুগতরা।
এছাড়া নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের নৌকা দিয়ে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দেয়ায় ভাড়া নেয়া হচ্ছে দু’ থেকে তিনগুণ বেশি।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশী নাগরিক না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
গত দু’সপ্তাহ ধরে সবগুলো সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ বন্ধ থাকলেও শুধুমাত্র টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে অন্তত ১৫ হাজার রোহিঙ্গা। বিশেষ করে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংডিয়া এবং ধোনখালী চর থেকেই এসব রোহিঙ্গা আসছে।
কিন্তু বাংলাদেশে প্রবেশের আগে এবং চরে অবস্থানের সময় তাদের কাছ থেকে মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে গেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং তাদের অনুগতরা। এমনটাই অভিযোগ বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের।
গত এক মাস ধরে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নাফ নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ সুযোগে মিয়ানমারের নৌকাগুলো রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে বাংলাদেশে পৌঁছে দেয়ার বিনিময়ে আদায় করছে হাজার হাজার টাকা।
গত দু’মাসে শুধুমাত্র টেকনাফে প্রায় চারশো বাংলাদেশি দালালের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু জটিলতার কারণে মিয়ানমারের দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে প্রতিদিন টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ হয়ে এক থেকে দেড় হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে। কোনো সময় তা আড়াই হাজার পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়।
আরএম