মুহাম্মাদ শোয়াইব : সমাজে মসজিদের ভূমিকা অপরিসীম। প্রথমত মসজিদ আল্লাহর ইবাদতের সর্বোত্তম স্থান। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- ‘উৎকৃষ্টতম স্থান হলো মসজিদ’।
মসজিদ থেকেই একটি আদর্শ মুসলিম সমাজ গড়ার প্রত্যয় পাওয়া যায়। ফিলিপাইনের মসজিদগুলোতে রয়েছে এর প্রকৃত উদাহরণ। সেখানের অধিকাংশ মুসলমানই মসজিদের নিরবচ্ছিন্ন মেহনতের ফসল।
ফিলিপাইনের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, ফিলিপাইনের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ মুসলিম অধিবাসী এবং ইসলাম প্রচারের জন্য ২৫০০ মসজিদ সক্রিয় রয়েছে। অধিকাংশ মুসলমান মিন্দানাও, পালাউন ও মোরোতে বসবাস করে।
তিনি বলেন, মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় ২৫০০টি মসজিদ রয়েছে। প্রথম মসজিদ সাল দ্বীপে নবম শতাব্দীতে নির্মাণ করা হয়। তবে সেখানে মসজিদ ছাড়াও ১২০টি আঞ্জুমান এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠান সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
ফিলিপাইনের মুফতি বলেন, ষষ্ঠ শতাব্দীতে আরব দেশের ব্যবসায়ীরা ব্যবসার জন্য পূর্ব এশীয় দেশগুলোয় সফর করে এবং তখন থেকে এদেশের ইসলাম ধর্মের সূচনা হয়।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক গবেষণায় দেখা যায় ফিলিপাইনের কিছু কিছু দ্বীপ মুসলমানদের অধীনে ছিল। সেসব এলাকায় মসজিদকে কেন্দ্র করে একসময় মক্তব চালু ছিলো। আজ তা বিলুপ্ত প্রায়। সেই মেহনতকে নতুন মাত্রায় আনার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মসজিদকে কেন্দ্র করে জনগণের শেখার আছে অনেক কিছু। মসজিদে প্রতিদিন পাঁচবার হাজির হওয়ার মাধ্যমে নিয়মানুবর্তিতার শিক্ষা লাভ হয়। মসজিদকে কেন্দ্র করে সামাজিক নানা কল্যাণমূলক কাজও আঞ্জাম দেয়া হত।
সমাজের শান্তি, শৃঙ্খলা ও ভারসাম্যময় পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানানো হত মসজিদ থেকেই। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে নববিতে বসেই মানবজীবনের অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও দিকনির্দেশনা দিতেন।
মদিনা রাষ্ট্র পুরোটাই পরিচালিত হতো মসজিদে নববিকে কেন্দ্র করে। মসজিদকেন্দ্রিক এসব কর্মকাণ্ড প্রায় উঠে গেছে । যার ফলে সামাজিক অবক্ষয় বেড়ে চলছে ।
এখন আমাদের সমাজকে একটি আদর্শ ও কার্যকরী সমাজ করতে হলে মসজিদকেন্দ্রিক সামাজিক নানা কল্যাণমূলক কাজ ও সমাজের শান্তি, শৃঙ্খলা ও ভারসাম্যময় পরিবেশ বজায় রাখার উদ্যোগ নিতে হবে।