আওয়ার ইসলাম : জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান জায়েদ রাদ আল হুসেইন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর আচরণকে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের সঙ্গে তুলনা করেছেন। দীর্ঘমেয়াদী এই সমস্যা খুব দ্রুত সমাধান হবে বলেও তিনি মনে করেন না।
বুধবার ৯০০ রেডিওর সমন্বয়ে গঠিত মার্কিন অমুনাফাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনপিআর-কে দেওয়া রাদ আল হোসেনের এক সাক্ষাৎকারভিত্তিক প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা যায়।
গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে সংঘাত শুরু হয়। এরপর সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান শুরু হলে দলে দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসতে শুরু করে।
এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছিলেন জায়েদ। সম্প্রতি তিনি কথা বলেছেন এনপিআর এর ম্যারি লুইস কেলির সঙ্গে। তার কথায় উঠে আসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের বিবরণ। এই বিষয়ে মানবাধিকার কমিশনের অবস্থানও স্পষ্ট করেন তিনি।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অবশ্য কোনো নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, রোহিঙ্গা জঙ্গিদের আক্রমণের শুধু জবাব দিচ্ছে তারা।
এর আগ, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার জায়েদ রাদ আল হুসেইন রাখাইন রাজ্যে ‘ভয়ানক সামরিক অভিযান’ বন্ধের জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এখনও হত্যাযজ্ঞ চলছে উল্লেখ করে রাদ আল হোসেন বলেন, ‘আমরা এখনও নিপীড়ন ও হত্যার খবর পাচ্ছি। উপাসনা করার স্থানগুলোতেই এটা বেশি দেখা যাচ্ছে এবং ধর্মীয় কারণেই তাদের ওপর ধর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে।’
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে আইএসের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করে রাদ বলেন, ‘ছোটো শিশুদের গলাকেটে ফেলার মতো নৃশংস কাজ আপনি শুধু আইএসের হাতেই সংঘটিত হতে দেখবেন।’
সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ নিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র বিচারকরাই এটা নিশ্চিত করতে পারে। আমরা একে জাতিগত নিধনযজ্ঞই মনে করি। যেই প্রক্রিয়ায় এটি চালানো হয়েছে তাতে করে আমাদের একেই পরিকল্পিত নিধনযজ্ঞই মনে হয়েছে।’
(আরএম- সূত্র ট্রিবিউন)