আওয়ার ইসলাম: নির্যাতিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়ার আলোচনার মধ্যেই আবারও ঢল নামল বাংলাদেশের দিকে। গতকাল সোমবার হঠাৎ করেই রোহিঙ্গারা আবারও আসতে শুরু করে।
মাঝখানে কিছুদিন বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ খানিকটা কম ছিল। গতকাল দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় অর্ধলক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে।
আগতরা বলছেন, তাদের ওপর নির্যাতন ও বাড়িঘর পোড়ানো বন্ধ হয়নি। আর খাদ্য সংকট দীর্ঘস্থায়ী করতে খাবারের দোকান পোড়ানো ও ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। তাদেরকে বর্মী ভাষায় ‘বাঙালি’ লেখা কার্ড জোর করে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। সেনারা বন্দুক তাক করে রোহিঙ্গাদের দেশ ছাড়তে বলছে। নইলে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে বলা যায় জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের চাপে মিয়ানমারের কার্যত সরকার প্রধান অং সান সু চির পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আশ্বাসের প্রতিফলন নেই রাখাইন রাজ্যে।
উখিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা জানান, গতকাল সীমান্তের নাফনদী পেরিয়ে আনজিমানপাড়া দিয়ে আসা রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন শিবিরে। সেনাবাহিনী ও উগ্রপন্থিদের হিংসাত্মক আচরণে বুথিডংয়ের ১৪টি গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভোরের দিকে দলে দলে ক্ষুধার্ত, নিঃস্ব ও ভীতসন্ত্রস্ত রোহিঙ্গারা দলে দলে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মনে হচ্ছিল কখনো শেষ হবে না এমন একটি সারি বাংলাদেশের পালংখালীতে পৌঁছেছে। এদের বেশিরভাগই আহত। বয়স্কদের বয়ে আনা হয় কাঁধে করে। নারীদের মাথায় ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন: পাত্র, চালের বস্তা এবং কাপড়চোপড় দেখা গেছে।
যেমন আছেন আরকানের বয়োবৃদ্ধ মুহাদ্দিস মাওলানা নুরুল ইসলাম