আওয়ার ইসলাম : গত ১ অক্টোবর ত্রিপলের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শফিকার এক ফুটফুটে নবজাতকের মা হন শফিকা। কোনো প্রকার ডাক্তার বা নার্স ছাড়াই তাবুতে আশ্রিত অন্য নারীদের সহযোগিতায় ফুটফুটে এক বাচ্চার জন্ম দেন শফিকা। মিয়ানমারের মংডু রাশিডং বাজারবিল এলাকা থেকে সাত দিন হেঁটে গতমাসে উখিয়ার থাইংখালী ময়নাঘোনা নতুন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেন শফিকা।
সদ্যজাত এই শিশুটির নাম রাখা এরদোগান। এরদোগান কেন নাম রাখলেন এমন প্রশ্নেবাবা নুরু ছলিম বলেন, 'নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের পক্ষে সর্বপ্রথম ডাক দিয়েছিলেন, তুরস্কের রাজা এরদোগান। তিনি তার স্ত্রীকে আমাদের দেখতে কুতুপালং ক্যাম্পে পাঠিয়েছিলেন। তার এই অবদানের কথা স্মরণে রাখতে সন্তানের নাম রেখেছি এরদোগান।'
একইভাবে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ছেড়ে ইজ্জত ও জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন আয়েশা। এখানে এসে জন্ম দেন একটি মেয়ে সন্তান।আয়েশার বোন সেতারা বলেন, এই ক্যাম্পে যেহেতু এরদোগানের জন্ম হয়েছে, সেজন্য আমার বোনের মেয়ের নাম রেখেছি এমিনি।
এখন সবাই এই ক্যাম্পের পাহাড়ের নাম দিয়েছে রাজার পাহাড়। রাজার পাহাড়ে এরদোগানকে দেখতে ছুটে এসেছেন- সমাধান শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড: নাজিম উদ্দিন, নির্বাহী পরিচালক মোঃ নাজমুল হুদা অপু। তারা নবজাতক শিশুকে কোলে নিয়ে দোয়া করেন এবং দুধ ও শিশু খাদ্যের জন্যে আর্থিক সহায়তা দেন। এছাড়া সমাধানের পক্ষ থেকে মসজিদ ও রোহিঙ্গা শিশুদের জন্যে মকতব এবং শিশু শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছেন বলে নির্বাহী পরিচালক অপু জানিয়েছেন।
এছাড়া শুভার্থী সংসদ ঢাকার আহবায়ক গোলাম রাকিব ও সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান এরদোগান ও এমিনির পরিবারকে নতুন পোষাক, শিশু খাদ্য এবং টাকা বিতরণ করেন। তারা জানান, বর্তমানে এরদোগান ও এমিনি সুস্থ আছে।
আরএম