আওয়ার ইসলাম: মিয়ানমারের আরাকানে রোহিঙ্গা হটানো শেষে এবার চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে বিশাল বিশাল যন্ত্রপাতি এনে শুরু হয়েছে নানারকম উদ্যোগ। রয়টার্স ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এমনটাই দেখা গেছে।
দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ফ্রন্টিয়ার জানিয়েছে, আরাকানে ইতোমধ্যেই বিলিয়ন কিয়াট প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে। এর আগে রাখাইনের ‘দ্য মেইয়ু মাউন্টেইন রেঞ্জ প্রজেক্ট’ শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে বলে ঘোষণা দেয় হয় প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে।
রাখাইনের রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ভাষণের পরদিনই এই ঘোষণা আসে। এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে ২৭৩ কিলোমিটার সীমান্তে মেরামত এবং নতুন করে বেড়া নির্মাণ। তবে ইতোমধ্যে ২১০ কিলোমিটার সীমান্ত বেড়া নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
মিয়ানমার সরকার বলছে, বঙ্গোপসাগর লাগোয়া রাথেডং, মংডু ও বুথিডংয়ের ঘন বনাঞ্চলের অবশিষ্ট ৬৭ কিলোমিটার সীমান্ত অনতিবিলম্বে নির্মাণ করা হবে।
রাখাইনের বিশাল এই প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাথমিক ২০ বিলিয়ন কিয়াট (এক কোটি ৪০ লাখ ৬৪ হাজার মার্কিন ডলার) অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মেইয়ু পর্বতাঞ্চলের বিভিন্ন সড়ক মেরামতও এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে। ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পর্বত মেইয়ু উপদ্বীপকে উত্তরে মংডু এবং বুথিডং, দক্ষিণে মংডু এবং রাথেডংকে পৃথক করেছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে, ‘পর্বতে তারা রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন আরসার আস্তানার খোঁজ পেয়েছে; যেখানে ম্রো, দেইংনেত ও মারামাগয়ির মতো জাতিগত রাখাইন উপ-জাতিদের বসবাস রয়েছে।’
এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া হলে সেখানে পৌঁছানোর পর তারা প্রথমেই আবাসন সঙ্কটে পড়বেন। কারণ স্যাটেলাইটে সংগৃহীত ছবিতে দেখা যায়, গত ২৫ আগস্টের পর রাখাইনের প্রায় ২০০ মুসলিম গ্রামে রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট থেকে আরাকানে সেনাদের তথাকথিত ক্লিয়ারেন্স অপারেশন শুরু হলে বাস্তুচ্যুত হয় প্রায় ৬ লাখ মানুষ। যারা বর্তমানে বাংলাদেশে মানবেতর জীবন যাপন করছে।