আবরার আবদুল্লাহ : রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য একশো মসজিদ ও মাদরাসা করার উদ্যোগ নিয়েছে খিদমাতুল খালক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত ৭টি মসজিদ ও মাদরাসা নির্মাণ শেষ হয়েছে। এসব মাদরাসায় কয়েকশত রোহিঙ্গা শিশু ধর্মীয় ও অক্ষর জ্ঞান লাভ করছে।
রোহিঙ্গা সংকটের একদম শুরু থেকেই সেবা দিয়ে আসলেও খিদমাতুল খালক রোহিঙ্গা মুসলিমদের দীর্ঘস্থায়ী সেবাদানের চিন্তা করছে। তারই অংশ হিসেবে নির্মাণ করা হচ্ছে একশো মাদরাসা ও মসজিদ।
খিদমাতুল খালক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ইদারাতুল উলুম আফতাবনগর মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপ্যাল মুফতি মোহাম্মদ আলী এ সম্পর্কে বলেন, ‘ইসলাম ও মুসলমানের শত্রুরা তাদের সব ছিনিয়ে নিয়ে দেশ ও ভািটিবাড়ি ছাড়া করেছে। এখানেও তারা নিরাপদ নয়। খ্রিস্টান মিশনারি ও তাদের স্থানীয় দালাল এনজিওগুলো মুসলমানের অসহায়ত্বকে পুজি করে তাদের ঈমান হরনের চেষ্টা করছে এবং করবে। তাই রোহিঙ্গা মুসলিমদের ঈমান আমল রক্ষার চেষ্টা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আলহাদুলিল্লাহ! খিদমাতে খালক ফাউন্ডেশন একদম শুরু থেকে রোহিঙ্গাদের মাঝে খাদ্য, গৃহনির্মাণ সামগ্রি, কাপড়, নগদ অর্থসহ বিভিন্ন ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এখন স্থায়ী কাজের চিন্তা করছে। তারই অংশ হিসেবে মসজিদ ও মাদরাসা নির্মাণ করছে।’
প্রশাসনের অনুমোদন ও সহযোগিতায় এ কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, মুফতি মোহাম্মদ আলী তার খিদমাতে খালক ফা্উন্ডেশনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে মসজিদ, মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং বিভিন্ন জাতীয় দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিশেষত উত্তরবঙ্গের খ্রিস্টান মিশনারি কবলিত অঞ্চলে তার বিশেষ সেবামূলক তৎপরতা রয়েছে।