আওয়ার ইসলাম: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সীমান্ত খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মানবিক কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রোববার সকালে বনানীতে ফিটনেস বিহীন পরিবহনের বিরুদ্ধে বিআরটিএ’র অভিযান দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এসব কথা জানান।
রোহিঙ্গা ইস্যূতে সরকারের কূটনীতি ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা ব্যর্থ হতো তাহলে মিয়ানমারের সুর নরম হলো কেন? মিয়ানমারের মন্ত্রী সফরে আসায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমাদের আরেকটু ধৈর্য্য ধরে ঠাণ্ডা মাথায় অপেক্ষা করতে হবে। উস্কানির ফাঁদে পা দিলে ক্ষতি হবে গোটা দেশের, এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রতিবেশী দেশ চীন ও ভারতে কাছে অনুরোধ করবো। এ মানববোঝা যা আমাদের অর্থনীতি ও পরিবেশের উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে, পর্যটনে প্রভাব পড়ছে। সেইসব চিন্তা করে বন্ধু দেশ ও বিশ্বজনমতের কাছে আমাদের অনুরোধ যাতে দ্রুতই আমাদের উপর যে বাড়তি জনসংখ্যার চাপ চেপেছে তা তাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে।
এ ইস্যূতে বিশ্বসভাসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমাদের প্রতিবেশি দেশগুলোর বড় ভূমিকা রাখা দরকার। কারণ আমাদের এখানে স্থিতি নষ্ট হলে, প্রতিবেশির ঘরে আগুন লাগলে এ আগুনের আঁচ অন্য প্রতিবেশিও পাবে।