রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজন গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

এ এস এম মাহমুদ হাসান
বিশেষ প্রতিবেদক

মিয়ানমারের সেনা ও উগ্র বৌদ্ধগোষ্ঠীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে বিতাড়িত হওয়া রোহিঙ্গাদের কষ্ট আর দুর্দশার অন্ত নেই। তবে এ করুন দুর্দশায় রোহিঙ্গা মহিলা ও শিশুরা বেশি আক্রান্ত। শিশু খাদ্য ও অন্তসত্বা নারীদের ভরণ পোষণ, সু-চিকিৎসা ও বিশ্রামের উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা না থাকায় রোহিঙ্গা শিবিরে ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্রমতে, প্রায় ১৫ হাজার অন্তসত্বা রোহিঙ্গা নারী বর্তমানে উখিয়া শরনার্থী ক্যাম্পে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এছাড়া উগ্র বৌদ্ধগোষ্ঠীর বিভৎষ কায়দায় ধর্ষণের শিকার অনেক অবিবাহিত নারীও গোপনাঙ্গের ইনফেকশনে ভূগছে। কিন্তু এসব নির্যাতিত ও ধর্ষিতা নারীদের সঠিক পরিচর্যা ও সুচিকিৎসার অভাবে রোগাক্রান্ত হওয়া ও অবাঞ্চিত গর্ভধারণ করার মত মারাত্বক ঝুঁকি রয়েছে।

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম এ নিয়ে অনুসন্ধান চালালে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যে কাজ করা মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাকী আওয়ার ইসলামকে বলেন, এখানে সরকারি বা বিদেশি সাহায্য অপ্রতুল। চিকিৎসা ব্যবস্থাও দুর্বল। তাছাড়া অনেক শরণার্থী সরকারি চিকিৎসা ক্যাম্প ও হাসপাতাল চিনে না। তাই এখানে স্বাস্থ্যসেবা দানকারী স্বেচ্ছাসেবীদের প্রয়োজন অনেক।

তিনি বলেন, যদি কোনো নারী ডাক্তার মাহরাম নিয়ে চিকিৎসার জন্য এখানে আসেন তাহলে আমরা তাদের পূর্ণ নিরাপত্বা ও পর্দার ব্যবস্থা করব। আমি এমন স্বেচ্ছাসেবী মহিলা ডাক্তারদের এ ব্যাপারে মানবিক কারণে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্মম নির্যাতনে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে বিতাড়িত মজলুম রোহিঙ্গা নারীরা এসে সহজেই তাদের একান্ত সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারছে না। ফলে তারা মারাত্বক শারীরিক অসুস্থতা ও সমস্যায় নিপতিত হচ্ছে।

বর্মী বৌদ্ধদের পৈশাচিকতার শিকার অনেক নারীরা লজ্জায় ধর্ষিত হওয়ার তথ্যও দিচ্ছে না। এ কারণে তাদের মাঝে অবাঞ্চিত গর্ভধারণসহ নানান যৌন রোগের ঝুঁকি রয়েছে।

তবে নির্যাতিত অনেক নারী ত্রাণ দিতে আসা স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে নারী ডাক্তার ও সেবিকার খোঁজ নিচ্ছেন। কিন্তু এ বিষয়ে তারা কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না।

কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে আওয়ার ইসলামের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তারা স্বেচ্ছাসেবী গাইনী/ মহিলা ডাক্তার ও নার্সদের এ ব্যাপের উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানান।

এ ক্ষেত্রে তারা বিশেষভাবে গাইনী বিশেষজ্ঞ মহিলা ডাক্তার ও নার্সদের শরণার্থী ক্যাম্পে মানবিক চাহিদা পূরণে দ্রুত এগিয়ে আসতে বলেন। ত্রাণ সহায়তাকারী এসব সংগঠনগুলো আত্মীয়/মাহরাম নিয়ে মহিলা ডাক্তার ও নার্সদের স্বেচ্ছায় শরনার্থী ক্যাম্পে যাওয়ার অনুরোধ করেন।

স্বেচ্ছাসেবী মহিলা ডাক্তার ও নার্সদের এ ক্ষেত্রে থাকা, খাওয়ারও ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান এসব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো ।

কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পে ত্রাণ সহায়তাকারী বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন রোহিঙ্গা নারীদের জন্য প্রয়োজন এমন সব ওষুধ দিয়ে নারী ডাক্তারদের সহযোগিতা করবেন বলেও আওয়ার ইসলামের অনুসন্ধানী টিমের কাছে জানান।

প্রয়োজনে গাইনী ডাক্তার ও নার্সদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

আমি অবিভূত রোহিঙ্গাদের দীন প্রেম দেখে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ