আওয়ার ইসলাম : মাদারীপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ২০ শ্রমিক আহত হয়েছে। মাদারীপুরের একমাত্র স্পিনিং মিল বন্ধ ঘোষণা করায় মিলের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকরা বিক্ষোভে নামে।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে প্রায় আধা ঘণ্টা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবোরধসহ মিলের বাহিরে তিন ঘণ্টা যাবত বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা।
পরে স্থানীয় প্রশাসনসহ পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে মিলের ভিতরে শ্রমিকরা অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। দুপুর দেড়টার দিকে প্রশাসন থেকে ঘোষণা আসে মিল বন্ধ থাকবে। এরপরই পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে দুই পুলিশসহ ২০ শ্রমিক আহত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫ কোটি টাকা ঋণের দায়ে সরকার মিলটি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
চলচ্চিত্রে আগ্রহী করতে স্কুলে স্কুলে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
এই স্পিনিং মিলে তিন শিফটে প্রায় দুই হাজার কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক কাজ করেন। তারা প্রায় আড়াই মাস বেতন পাচ্ছেন না। শুক্রবার মিল বন্ধ ঘোষণা করায় শ্রমিকরা অসহায় হয়ে পড়ে। কোনো উপায় না পেয়ে কাজ ফেলে শ্রমিকরা সকাল থেকে মাদারীপুরের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মস্তাফাপুরের বড়ব্রিজ এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে প্রায় দুই পাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পরে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবোরধ তুলে নিলেও বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘট করতে থাকেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান, তারা মিলটি বন্ধ হতে দেবেন না। মিলটি বন্ধ হলে তাদের পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
তবে দুপুর দেড়টার দিকে মিলটি তালাবদ্ধ করতে গেলে পুলিশ ও শ্রমিকদের মাঝে সংঘর্ষ হয় শুরু হয়। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জসহ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করায় দুই পুলিশসহ আহত হন ২০ জন শ্রমিক। পরে প্রশাসন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ান করে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে আপতত মাদারীপুর স্পিনিং মিলটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
কহিনুর, মাজেদা, রহিমা, সাজেদা, মাহিনুর, সাহিনুরসহ শ্রমিকরা বলেন , আমাদের অনেকের স্বামী নেই। সন্তানদের পড়াশুনা কারাই এই মিলে কাজ করে। আমরা জানি এই সরকার শ্রমিক বান্ধব। সরকার আমাদের এভাবে অসহায় অবস্থায় ফেলে দেবে না। আমরা এই মিল বন্ধ হতে দেব না।
মাদারীপুর স্পিনিং মিলের ডিজিএম আলি আকবর বলেন, কোনো নোটিশ ছাড়া হঠাৎ করে মাদারীপুর প্রশাসন আমাদের মিল বন্ধ করতে বলে। আমরা অফিস থেকে শ্রমিকদের এ কথা জানালে তারা আন্দোলনে নেমে পড়েন।
-এআরকে