আওয়ার ইসলাম : বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন (৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার) মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। দেশের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ রিজার্ভ। এ রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ৯ মাসের আমাদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। রপ্তানী ও রেমিট্যান্স আয় ইতিবাচক থাকায় বিপুল পরিমান রিজার্ভ জমছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, গত বুধবার দিন শেষে প্রথমবারের মত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। দিন শেষে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩০১ কোটি ৭৯ লাখ ডলার।
গত বছরের ২১ জুন রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ৯৮৭ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এক বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ বেড়েছে সাড়ে ১০ শতাংশ। গত মে মাসের শেষ দিনে রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ২২৪ কোটি ৫৬ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) রেমিট্যান্স আয় ১৪ শতাংশ কমেছে। আলোচ্য সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ১৫৫ কোটি ডলার। এই সময়ে রপ্তানী আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে রপ্তানী হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রার আয় হয়েছে ৩ হাজার ১৮০ কোটি ডলার।
এদিকে চলতি অর্থবছরের দশ মাসে পণ্য আমদানিতে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়েছে ৩ হাজার ৭৩৭ কোটি ডলার। এ হিসেবে প্রতি মাসে আমদানি ব্যয় ৩৭৩ কোটি ডলার। এই হিসেবে জমা হওয়ার রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ৯ মাসের আমাদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। বাংলাদেশকে দুই মাস পরপর পরিশোধ করতে হয় আকুর বিল।
-এআরকে