আবুতালহামিহরাব: এখন থেকে জিমে গিয়ে আর ট্রেড মিলে হাঁটতে হবে না। বাইকেই ব্যায়াম করা যাবে। সঙ্গে যাতায়াত ব্যবস্থা তো আছেই। এমনই এক ধরনের ইলেকট্রিক ওয়াকিং বাইক আবিষ্কার করেছে লোপিফিট। বিশেষ এই বাহনে বসে থাকলে চলবে না। হাঁটতে হবে আপনাকে। আর এ জন্য বাইকের মধ্যে যুক্ত করা হয়েছে ট্রেডমিল।
ট্রেড মিল বাসাইক্লিং হল ব্যায়াম করার জন্য বিশেষ এক যন্ত্র। অনেকে টাকা খরচ করে মেশিনটি বাসায় রাখেন। সময় পাল্টে গেছে। ট্রেড মিলজিমের বাইরে চলে এসেছে লোপিফিটের কল্যাণে। তাদের ওয়াকিং বাইকে ট্রেডমিল থাকায় বাইকে হাঁটা সম্ভব। স্কুটার, ট্রেডমিল এবং ইলেকট্রিক বাইক এর তিনটির সমন্বিত সুবিধা যোগ করা হয়েছে বাইকটিতে।
বিশেষ এই বাইক তিরিশ থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার চলতে সক্ষম মাত্র এক বারের চার্র্জেই। সঙ্গে গিয়ারের গতি বদল করা যাবে। ঘণ্টায় এটি ৪-১৭ মাইল বেগে চলতে পারে।
জানা যায়, ওয়াকিং বাইকের ট্রেড মিলের নিচে আছে সেন্সর। আপনি যখন ট্রেড মিলের ওপর দাঁড়িয়ে সামনের দিকে হাঁটতে শুরু করবেন তখনই সাইকেলটির ইলেকট্রিক ডিভাইসে সংকেত পৌঁছে যাবে। ফলে চালতে শুরু করবে মোটর। এই মোটর হাঁটার গতি বজায় রাখবে আপনার। যদিআপনি দাঁড়িয়ে থাকেন তবে চলতে থাকবে সাইকেলটি। এজন্য আছে ফিহুইল ফাংশন।
বাইটির হাতলে রয়েছে ছোট আকারের ডিসপ্লে। যেখানে বাইকের গতি, ব্যাটারির চার্জের পরিমাণ দেখা যাবে। তবে বাংলাদেশে এখনো পাওয়া যাচ্ছে না বাইকটি। আপাতত বেশ কয়েকটি ডিজাইনের ইলেকট্রিক ওয়াকিং বাইক যুক্তরাষ্ট্র, ম্যাক্সিকো, ক্যারিবিয়ান বাজারে এনেছে লোফিফিট। দাম ২৪৯৫ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় মূল্য দাঁড়ায় প্রায় দুই লাখ টাকা।
আরআর