আলুর বন্ড পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এক নারীকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিলেন জলপাইগুড়়ির তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা অনন্ত রায়। শালবাড়ি এলাকার এই ঘটনায় ধুপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ওই নারীর দাবি, অনন্ত জিজ্ঞেস করে, তোর কত প্যাকেট আলুর বন্ড দরকার? আমি বলি, তিন গাড়়ি আলু রয়েছে। তা রাখলে ভালো হয়। অনন্ত বলে, তোর কোনও চিন্তা নেই। সব হয়ে যাবে। কিন্তু, এ যুগে কেউ এমনি কাজ করে না। তাই, আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। বিনিময়ে ১০ গাড়ি আলুর বন্ড দেওয়া হবে।
ওই নারী বলেন, এই কথা শোনামাত্রই আমি খুব রেগে যাই। কিন্তু, কিছু করিনি। কারণ, ও নেতা। আমার অভিযোগ কেউ বিশ্বাস করবে না। তাই, একটি দোকান থেকে মোবাইলে কথা রেকর্ড করা শিখি। তারপর অনন্তকে আবার ফোন করি। ও একই কথা বলে। এরপর মোবাইলের কথোপকথন জমা দিয়ে ধুপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
ওই নারীর স্বামী কেরালায় কাজ করেন। দুই ছেলেকে নিয়ে পশ্চিম শালবাড়িতে থাকেন তিনি। বাপের বাড়ি জটেশ্বরে। সেখানেই আলু চাষ করেছিলেন। আলু রাখার জন্য বন্ডের প্রয়োজন। কিন্তু, প্রশাসনিক নির্দেশ মতো যে পরিমাণ বন্ড দেওয়া হচ্ছে তাতে তার সমস্যা মিটবে না। এছাড়া জমির কাগজপত্রও নাকি তার কাছে নেই। তখন আশপাশের লোজনের কাছে শোনেন যে অনন্ত নামে ওই তৃণমূল নেতা আলুর বন্ড বিক্রির দায়িত্বে রয়েছেন। তাই, গত ৬ মার্চ গাদং পঞ্চায়েত অফিসের সামনে অনন্ত রায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বলেন, “কাগজপত্র ছাড়াই যদি আলুর বন্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় তাহলে খুব সুবিধা হবে। এর বিনিময়ে ওই নেতা তাকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন বলে অভিযোগ তার।
অভিযোগকারিনীর দাবি, পুলিশ নাকি প্রথমে অভিযোগ জমা নিতে চায়নি। বলে, আমি নাকি শারীরিক প্রস্তাবের চান্স দিয়েছি। তাই, সে এরকম প্রস্তাব দিতে পেরেছে। এদিকে, অভিযুক্ত অনন্ত রায় জানান, তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। তৃণমূলেরই জয়হিন্দ বাহিনীর সদস্যরা ফাঁসাচ্ছে। ওই নারী জয়হিন্দ বাহিনীর সদস্য। গোটা ঘটনাটি তৃণমূলের উপরমহলকে জানানো হয়েছে।
আরএফ