আওয়ার ইসলাম : ভারতের হিন্দু পুণরুত্থানবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং-সেবক সংঘ বা আর এস এসের প্রধান মোহন ভগবতকে সাম্মানিক ডক্টরেট অফ সায়েন্স বা ডি. এস সি সম্মান দিতে চলেছে মহারাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়।
মি. ভগবতকে গো বিজ্ঞান চর্চায় তাঁর অবদানের জন্যই এই সম্মান জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে মহারাষ্ট্র প্রাণী ও মৎস বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. এ এস বান্নালিকার বিবিসি বাংলাকে বলেন, "তাঁর নামটা ডি এসসি উপাধির জন্য সর্বসম্মতভাবে পাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল...তিনি দেশীয় গো-প্রজাতিগুলিকে সংরক্ষণের জন্য যে অবদান রেখেছেন বা যা কাজ করেন, তার জন্যই এই সম্মান জানাচ্ছি আমরা।"
ড. বান্নালিকা জানান, দেশীয় গো প্রজাতির সংরক্ষণ ছাড়াও ঐ খামারে গোমূত্র ও গোবরের উপযোগিতা নিয়ে নানা গবেষণা হয়।
নাগপুরের পশুচিকিৎসা কলেজের স্নাতক ভাগবতের কাজের বিষয়টি হল— শুধুমাত্র দুধ নয়, গরুর অন্যান্য বর্জ্য পদার্থের উপরেই মূল অর্থনৈতিক ভিত পোক্ত হয় গোশালাগুলির। এ নিয়ে একাধিক বইও রয়েছে তাঁর।
আরএসএস প্রধান যেমন গোবর ও গোমূত্রের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক মূল্য নিরূপণ করেছেন, তেমনই সবিস্তার বর্ণনা করেছেন মানবশরীরে গোমূত্রের নানাবিধ উপকারিতা। পরিমিত গো-মূত্র সেবন যে বলবর্ধক, সে কথাও কারণ-সহ উল্লেখ রয়েছে তাঁর কাজে। বলা হয়েছে, গোমূত্র সেবনে রক্ত পরিশুদ্ধ হয়, কমে কিডনি-জনিত সমস্যা এবং বাতের ব্যথাও। এ প্রসঙ্গে পতঞ্জলির গোমূত্র ট্যাবলেটের অর্থকরী দিকটিও উল্লেখ করেছেন ভাগবত।
রাজনৈতিক শিবিরের অবশ্য বক্তব্য, এই সম্মানের নেপথ্যে আরএসএস-কে খুশি করার কৌশলও রয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব তথা নরেন্দ্র মোদীর।
ভারতে গো-রক্ষার নামে আরএসএস সহ কট্টর হিন্দু গোষ্ঠিগুলোর বাড়াবাড়ি সাম্প্রতিক সময়ে বড় ধরণের উদ্বেগ তৈরি করেছে। গো-রক্ষার নামে মাঝে মধ্যেই বিশেষ করে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে।
সূত্র : বিবিসি
-এআরকে