আওয়ার ইসলাম : জার্মানির একটি স্কুলের কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের কাছে পাঠানো এক লিখিত নির্দেশনায় মুসলিম শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে নামাজ পড়ায় বাধা দিতে বলেছে৷ তবে এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ও জার্মানির মুসলিম কমিউনিটিগুলো।
ভুপার্টাল শহরের ইওহানেস রাও গিমনাজিয়ুমের ঐ নির্দেশনায় লেখা হয়েছে, ‘গত কয়েক সপ্তাহে মুসলিম শিক্ষার্থীদের স্কুল ভবনে নামাজ পড়তে দেখা গেছে, যা অন্যদের কাছে দৃশ্যমান ছিল৷ তারা টয়লেটে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ধোয়াধুয়ি করেছে, প্রার্থনার মাদুর পেতেছে এবং নির্দিষ্ট কিছু অঙ্গভঙ্গি করেছে৷ এটি অনুমোদিত নয়।’
যারা নামাজ পড়ে, স্কুল কর্তৃপক্ষকে তাদের নাম জানাতে বলা হয়েছে৷ শিক্ষার্থীদের এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ‘বন্ধুত্বপূ্র্ণ' আচরণ দিয়ে বলতে বলা হয় নির্দেশনায়৷
বিষয়টি নিয়ে জার্মানির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই ব্যাপক বিতর্ক চলছে। জার্মান সংবিধানের চার নম্বর ধারা (ধর্ম ও দার্শনিক মতবাদ প্রকাশের অধিকার) উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কে যেন কী বলা ছিল? জার্মান সংবিধানের চার নম্বর ধারা?'
আরেকজনের প্রশ্ন, ‘‘আমরা কি স্কুলে তাদের কার্পেট পাততে দিতে পারি?''
এদিকে, জার্মানির ইসলামবিরোধী ও ডানপন্থি পপুলিস্ট পার্টি ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি' বা এএফডির ভুপার্টাল শহর শাখা স্কুল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে যুক্তিসংগত পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছে৷
বৃহস্পতিবার ‘ডেয়ার ভেস্টেন' পত্রিকায় এই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানা যায়নি৷ তবে স্কুলের এই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন৷
জেলা পরিষদের মুখপাত্র ডাগমার গ্রস ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে ‘উসকানিমূলকভাবে' নামাজ পড়ার উপর৷ স্কুলে শান্তি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
সূত্র : ডয়েচে বেলি
-এআরকে