এ ঘটনায় জরুরি ভিত্তিতে একটি স্বাধীন, আন্তর্জাতিক তদন্তের অনুমোদন দিতে মিয়ানারের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ৯ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মিয়ানমারের মংডু জেলার অন্তত ৯টি গ্রামে ধর্ষণ, গণধর্ষণ, আগ্রাসীভাবে দেহ তল্লাশি ও যৌন হামলায় অংশ নেয় দেশটির সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের সদস্যরা।
এতে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের চৌকিতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হামলার পর দেশটির সামরিক বাহিনী রাখাইন রাজ্যে ধারাবাহিকভাবে বেশ কিছু 'পরিচ্ছনতা অভিযান' চালায়। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পুরুষ, নারী ও শিশুদের হত্যার পাশাপাশি সম্পদ লুট করে; পুড়িয়ে দেয় বাড়িঘরসহ অন্তত দেড় হাজার স্থাপনা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ৬৯ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যায় এবং আরও প্রায় ২৩ হাজার রোহিঙ্গা মংডু জেলায় আশ্রয় নেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গা নারী ও কিশোরীদের ওপর দেশটির সরকারি বাহিনীর চালানো যৌন সহিংসতাকে মোটেও এলোপাতাড়ি বা সুযোগসন্ধানী বলে মনে হয়নি, বরং একে 'সমন্বিত ও পদ্ধতিগত হামলা' বলেই মনে হয়েছে।
-এআরকে