আওয়ার ইসলাম: আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় বিজয়নগরস্থ প্রো-একটিভ হলে মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক খেলাফত মজলিসের আমীর ও ড. আহমদ আবদুল কাদের মহাসচিব হিসেবে শপথ গ্রহন করেছেন।
শূরা সদস্য ও সদস্যদের ভোটে নবনির্বাচিত আমীরে মজলিসকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এমকে জামান।
শূরা সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত নবনির্বাচিত মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আবদুল কাদেরকে শপথ বাক্য পাঠ করান আমীরে মজলিস মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক।
অধিবেশনে ২০১৭-১৮ সাংগঠনিক সেশনের জন্যে গঠিত ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গঠিত হয়।
সদস্যগণ হচ্ছেন, আমীরে মজলিস- অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, নায়েবে আমীর- অধ্যক্ষ মাসউদ খান, মাওলানা সৈয়দ মজিবর রহমান, হাফিজ মাওলানা মজদুদ্দিন আহমদ, মাওলানা আহমদ, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, অধ্যাপক এম কে জামান, অধ্যাপক সিরাজুল হক, মাওলানা আবদুল বাসিত আজাদ, মহাসচিব- ড. আহমদ আবদুল কাদের, যুগ্মমহাসচিব- মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন, মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ, এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, শেখ গোলাম আসগর, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক- ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শফিউল ্অলম, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা এ কে এম আইউব আলী, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক- খান মুহাম্মদ নজরুল হক, মাওলানা নূরুল আলম আল-মামুন, মাস্টার সিরাজুল ইসলাম, আহমদ আসলাম, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, প্রশিক্ষন সম্পাদক- অধ্যাপক আবদুল হালিম, সহকারী প্রশিক্ষণ সম্পাদক- মাওলানা শামসুজ্জামান চৌধুরী, বায়তুলমাল ও আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, উলামা বিষয়ক সম্পাদক- মাওলানা নোমান মাযহারী, মাওলানা হারুনূর রশীদ, দফতর ও প্রচার সম্পাদক- অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, প্রকাশনা সম্পাদক- অধ্যাপক কে এম আলম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক- আলহাজ্ব আবু সালেহীন, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক- আমিনুর রহমান, দাওয়াহ সম্পাদক- মাওলানা নূরুজ্জামান খান, সদস্য- এবিএম সিরাজুল মামুন, মাস্টার সাইফুদ্দিন আহমদ, ডা: এ এ তাওসিফ, ডা: শরীফ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক, মাস্টার আবদুল মজিদ, অধ্যাপক একেএম শাহজাহান, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা সাঈদ আহমদ, মাওলানা সৈয়দ মুশাহিদ আলী, অধ্যাপক বজলুর রহমান, মাওলানা আইউব আলী, অধ্যাপক আবদুস সবুর, হাফেজ মাওলানা জিন্নত আলী, অধ্যাপক মাওলানা খুরশীদ আলম, মাওলানা আহমদ বিলাল, অধ্যাপক মাহবুব মোর্শেদ ও মাওলানা আজিজুল হক।
অধিবেশনে হযরত মাওলানা খলীলুর রহমান বর্ণভী- মৌলভীবাজার, মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ ইউসুফ- যশোর, মাওলানা রশীদ আহমদ ফারুক বর্ণভী, মাওলানা মাওলানা আবদুল বারী ধর্মপুরী- মৌলভীবাজার, মাওলানা মনিরুজ্জামান সিরাজী- বি-বাড়িয়া, আলহাজ্ব সৈয়দ আতাউর রহমান- সিলেট, মাওলানা মনসুরুল হক খান- মোমেনশাহী, সৈয়দ ফেরদাউস বিন ইসহাক- ঢাকা, প্রিন্সিপাল মাওলানা সাফি উদ্দিন ভূঁঞা- ঢাকা, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস- ল²ীপুর, মাওলানা আবদুল কাইউম সুবহানী- ঢাকা, মাওলানা মুহাম্মদ সালেহ- খুলনা, মাওলানা মাহবুবুর রহমান- খুলনা, মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাইল- গোপালগঞ্জ, ড. আবদুল লতিফ মাসুম- জাবি, মাওলানা তৈয্যেবুর রহমান- বাগেরহাট, ডাঃ আবদুল্লাহ খান- ঢাকা, সৈয়দ মুহিবুর রহমান- সিলেট, হাফিজ মাওলানা নূরুজ্জামান-সিলেট, এডভোকেট এ কে এম বদরুদ্ধোজা- বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, এডভোকেট খলীলুর রহমান- বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, এডভোকেট আহমদ সগীর- চট্টগ্রাম, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম- চাঁদপুর, মাওলানা মুফতি ইব্রাহীম খলীল- পাবনা, মাওলানা ফরিদ আহমদ সিদ্দিকী-কিশোরগঞ্জ, অবদুস সামাদ সরকার- ঢাকা, মাওলানা আবদুস সালাম চৌধুরী- মৌলভীবাজার, মুফতি আবদুল বাতেন- মানিকগঞ্জ, মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু গওহরপুরী, হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম-চট্টগ্রাম, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজা-বান্দরবান, মাওলানা মুহাম্মদ আলী- রংপুর প্রমুখকে নিয়ে কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, আবারো সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন হলে দেশবাসী কোনভাবেই মেনে নেবে না। ইতোমধ্যেই গঠিত সার্চ কমিটি নিয়ে দেশবাসী হতাশ হয়েছে। সার্চ কমিটি দেখে দেশবাসীর মধ্য্যে আশংকা সৃষ্টি হয়েছে যে, বর্তমান সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের মতো আরেকটি মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন আবার জাতির ঘারে চেপে বসবে। তাতে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। এতে দেশে বিরাজমান আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট নিরসন হবে না। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ৭টি প্রস্তাব গ্রহীত হয়। যথাক্রমে ১. গঠিত সার্চ কমিঠি এবং নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গ ২. সুপ্রীমকোর্ট প্রাঙ্গনে গ্রীক দেবীর মূতি স্থাপন প্রসঙ্গ ৩. পাঠ্যপুস্তক ও পাঠ্যসূচী প্রসঙ্গ, ৪. মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা ও দেশে দেশে মুসলিম নির্যাতন প্রসঙ্গ ৫. হত্যা, সন্ত্রাস, উগ্রবাদ প্রসঙ্গ ৬. পরিবেশ ও সুন্দরবনের জন্যে ক্ষতিকর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মান প্রসঙ্গ ৬. সামাজিক অবক্ষয় ও রাজনৈতিক সংকট প্রসঙ্গ ৭. আর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অস্থিরতা।
আরআর