প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা নগরীতে আরেকটি পুলিশ লাইন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়েছি। এই ব্যারাক প্রতিষ্ঠার জন্য উপযুক্ত জমি খোঁজা হচ্ছে। জনগণকে অধিকতর ভালো সেবা দেয়ার জন্য ঢাকা মহানগরীকে দু'ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং এজন্য আমরা নগরীতে আরেকটি পুলিশ লাইন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়েছি।'
দেশের প্রধান নির্বাহীর সামনে তৃণমূলের পুলিশ সদস্যদের উপস্থিত থাকা ও তার সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম করে তোলার জন্য অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনীর দরবার-এর ন্যায় বার্ষিক পুলিশ সপ্তাহের সঙ্গে এবারই প্রথমবারের মতো 'পুলিশ ওয়েলফেয়ার প্যারেড'-এর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও মহাপুলিশ পরিদর্শক এম শহীদুল হকও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ। এতে পুলিশের কনস্টেবল থেকে শীর্ষ পদমর্যাদার কর্মকর্তারা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমাম, সিনিয়র এএসপি তাপস রঞ্জন ঘোষ, ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন কুণ্ড, সার্জেন্ট খন্দকার মশিউর রহমান এবং কনস্টেবল খায়রুন্নাহার পেশার কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালনকালে পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধানের জন্য পুলিশ সদস্যদের বছরে চার সেট ইউনিফর্ম দেয়ার আশ্বাস দেন। শেখ হাসিনা পুলিশ বাহিনীর চিকিৎসার জন্য সকল সরকারি হাসপাতালে আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সিআইডি-এর ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি, সাইবার ক্রাইম তদন্ত কেন্দ্র, সাইবার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য ও ১৯৭১ সালে শহীদ পুলিশ সদস্যদের স্মরণে গড়া 'রাজারবাগ-৭১' পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী ওই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বিভিন্ন বিভাগ ও পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।