মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সৌদির সেবা কোম্পানির সঙ্গে হজ এজেন্সির চুক্তির নির্দেশনা মহেশখালী থানার বিশেষ অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত ১১ জন আসামি গ্রেফতার বৃষ্টির সময় কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় ওমরা পালনকারীদের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট গ্রাহকদের মূলধন ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মাওলানা আতহার আলীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে রোপা আমন ধান কাটা শুরু চাঁদপুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহর সাফল্য বগুড়ায় আন্দোলনে নিহত রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত

রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের অভিযোগে আসাদের নাম জাতিসংঘের তদন্তে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

asadআওয়ার ইসলাম: শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই সিরিয়ার সেনাবাহিনী বিদ্রোহীদের দমন করতে গিয়ে ২০১৪-১৫ সালে কমপক্ষে তিনবার রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করেছে ।

এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও তাঁর ভাই এতে জড়িত—জাতিসংঘ ও রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংগঠনের (ওপিসিডাব্লিউ) যৌথ প্রতিবেদনে এমন তথ্য রয়েছে বলে দাবি করেছে রয়টার্স।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স তাদের গত শুক্রবারের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, জাতিসংঘ ও ওপিসিডাব্লিউ পরিচালিত ‘জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন মেকানিজম’ (জেআইএম) যৌথভাবে সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের অভিযোগ তদন্ত করছে।

তদন্তসাপেক্ষে জেআইএম ১৫ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে, যারা ক্লোরিন গ্যাস হামলার সঙ্গে জড়িত বলে তদন্তকারীদের দাবি। এ তালিকায় রয়েছেন প্রেসিডেন্ট আসাদ, তাঁর ভাই মাহের, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধানের নাম। তবে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের ঠিক কী ভূমিকা ছিল, এ ব্যাপারে প্রতিবেদনে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। ওই তালিকা রয়টার্সের গোচরে এলেও এখনো তা জনসমক্ষে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

সাবেক ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা ও ন্যাটোর একসময়ের রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্র প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান হ্যামিশ ডি ব্রেটন-গর্ডন জেআইএমের ওই তালিকার সমর্থনে বলেন, ‘প্রথমে শীর্ষ নেতারাই (রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের) সিদ্ধান্তটা নিয়েছে। তারপর নির্দেশটা নিচের দিকে গেছে। ’ বর্তমানে তিনি স্বাধীনভাবে সিরিয়ায় জীবাণু অস্ত্র ও রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন।

জেআইএমের তালিকার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট আসাদের মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে সরকারের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দাবি করেছেন, রাসায়নিক অস্ত্র হামলার সঙ্গে আসাদের জড়িত থাকার অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। জেআইএম প্রধান ভারজিনিয়া গ্যাম্বা সন্দেহভাজনদের কোনো তালিকা তৈরির কথা অস্বীকার করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, ‘এখন পর্যন্ত কাউকে সন্দেহভাজন হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। ’ যেহেতু তদন্ত সংস্থাটির হাতে কোনো বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হয়নি, তাই সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের তালিকা জেআইএম তৈরি করলেও অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা সহজ হবে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

কেননা সিরিয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সদস্য নয়। রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট আসাদসহ দোষীদের আইসিসির কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চাইলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদন লাগবে। পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাশিয়া ভেটো দিলে সেটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

রাজধানী দামেস্কের বাইরের দিকে ঘুতা এলাকায় ২০১৩ সালের আগস্টে সারিন গ্যাস হামলায় হতাহতের পর সরকার আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র সমঝোতায় স্বাক্ষর করে। ঘুতায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের দায় অস্বীকার করলেও সরকার তাদের হাতে থাকা রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার ঘোষণা দেয়।

সূত্র : রয়টার্স।

ডিএস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ