আওয়ার ইসলাম: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন-গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ অব্যাহত আছে।রোহিঙ্গা মুসলিমদের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে বাংলাদেশে আসছে জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধিদল।
অপরদিকে রোহিঙ্গা নির্যাতন বিষয়টি নিয়ে মুসলিম দেশগুলোর জোরালো অবস্থান নিতে কুয়ালালামপুরে প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলোচনায় বসছেন ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের পরও রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ‘প্রত্যাখ্যানের নীতি’ থেকে এখনো সরেনি মিয়ানমার। রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে গঠিত সরকারি কমিশনের এক অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ ও বিভিন্ন রকম নির্যাতনের দায়ে সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।এ প্রতিবেদনে মিয়ানমার সরকার দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতন হত্যার সত্যতা পায়নি বলে প্রতবিদেনে প্রকাশ করেছে।
গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনারের দপ্তর বেশ কিছুদিন ধরেই রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে বাংলাদেশে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানোর অনুমতি চাইছিল। সরকার সম্প্রতি প্রতিনিধিদলটিকে বাংলাদেশে আসার অনুমতি দিয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলটি জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরের সময় কক্সবাজার ও এর আশপাশের এলাকায় যাবে। এ সময় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সম্প্রতি রাখাইন থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন। বাংলাদেশ সফর শেষে ওই প্রতিনিধি দল মানবাধিকার কমিশনারের দপ্তরে একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন দেবে।
এদিকে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ১৯ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিশেষ বৈঠকে বসছেন। ওই বৈঠক শেষে ওআইসির সদস্যদেশগুলোর রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব নেওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৫৭-জাতির ইসলামি জোটটি এই প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিশেষ কোনো সভা ডেকেছে।
ডিএস