দিদার শফিক: ওমরার নামে সৌদি গিয়ে মক্কা-মদিনায় ভিক্ষাবৃত্তিতে লিপ্ত এমন ১৮জন পুরুষ ওনারী ভিক্ষুককে গ্রেফতার করেছে সৌদি সরকার। ওমরা মৌসুমের প্রাক্কালেই পাকিস্তানের ভাব-মূর্তি ক্ষুন্নকারী একটিচক্র্ একাজে ওঠে পরে লেগেছে।
পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলের ২১ হাজার লোক মক্কা-মদিনায ভিক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে কুদরতডটকম বরাতে জানা যায়।
সৌদি গোয়েন্দা সংস্থা ভিক্ষুকদের আগমন সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর ভিক্ষুক গ্রেফতার অভিযান শুরু হয়। এই অভিযানে ১৮জন পুরুষ ও নারী ভিক্ষুককে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। সৌদি সরকার গ্রেফতারকৃত ভিক্ষুকদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আমির খান,শাবিরন বিবি, মুখতার আহমদ, নেয়ামত খাতুন, নুসরত বিবি, সাজাবিল হোসাইন, শামে খাতুন, আব্দুল কুদ্দুস, নাজিরন বিবি, জরিনা বিবি, রিয়াজ আহমদ, আজম খান, জারু খান, মুনিরা বিবি, সাহেবা মাঈ, মাহরু মাঈ, বিনু মাঈ প্রমুখ।
ভিক্ষুক গ্রেফতার অভিযানে ভিক্ষুকচক্রের হোতা মুখতারও গ্রেফতার হয়েছে।মুখতারই এ ভিক্ষুকদের পরিচালনা করত। জেল হাজতে এক জবানবন্দিতে মুখতার বলেন, পাকিস্তানের ১২০জন লোক করাচি এবং রহিম ইয়ার খান এর একটি ট্রাভেলস এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা লাগিয়ে সৌদি আরব পাঠানো হয়।
মুখতার জানায়, মদিনায় পাঠানো ভিখারীরা হজ পর্যন্ত এখানেই অবস্থান করে মদিনা জিয়ারতকারীদের কাছে ভিক্ষা চায়। এ সময়ের মধ্যে ভিক্ষা করে প্রতি মাসে তাদের ২০-২৫ হাজার রিয়াল অর্জন হয়। ভিক্ষাবৃত্তিতে অর্জিত অর্থের অর্ধেক ট্রাভেল এজেন্টকে প্রদান করতে হয়। ভিক্ষুক গ্রেফতার অভিযানে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন,মক্কা-মদিনায় জামাল খানের ভাই জারু খান ভিক্ষুকদের তত্তাবধান করে থাকেন। সূত্র: কুদরত ডটকম
ডিএস