আওয়ার ইসলাম: ব্যাংকে নানা ধরণের ব্যাংক হিসাব রয়েছে। নিম্নলিখিত তথ্যসমূহ/কাগজপত্রাদি বিভিন্ন রকম ব্যাংক হিসাব খুলতে প্রয়োজন হয়।
একক ও যৌথ হিসাব (সঞ্ছয়ী ও চলতি)
- ব্যাংকের নির্দিষ্ট আবেদনপত্র (সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার সম্মূখে স্বাক্ষর করতে হবে),
- পরিচিতিদানকারী ব্যক্তি দ্বারা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি সত্যায়িত থাকতে হবে,
- নমুনা স্বাক্ষর (আবেদনকারী কর্তৃক ব্যাংক কর্মকর্তার সম্মূখে স্বাক্ষর করতে হবে),
- সম্ভাব্য লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য, এবং
- পরিচয় নিশ্চিতকরণের জন্য নিম্নের যে কোন একটি দলিল (বৈধ পাসপোর্ট/ বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ ভোটার পরিচয় পত্র/সশস্ত্র বাহিনীতে চাকুরীর পরিচয় পত্র/ কর্মরত প্রতিষ্ঠানের ছবি ও স্বাক্ষরযুক্ত পরিচয়পত্র/যে কোন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান যেমন ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদ)
- ট্যাক্স আইডিন্টিফিকেশন নাম্বার (টিআইএন)
- মনোনীত উত্তরাধিকারী ব্যক্ত বা ব্যক্তিদের (নমিনি) এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, যা হিসাবধারী কর্তৃক সত্যায়িত হবে। একাউন্ট হোল্ডার কর্তৃক সত্যায়িত নমিনি’র এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
সকল দলিলের ফটোকপি মূল আবেদন কপি’র সাথে যাচাই করতে হবে এবং ব্যাংকের একজন অথরাইজড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়ন করতে হবে।
একক মালিকানা হিসাব
- ব্যাংকের নির্দিষ্ট আবেদনপত্র (সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার সম্মূখে স্বাক্ষর করতে হবে),
- ইন্ট্রোডিউসার কর্তৃক আবেদনকারীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি সত্যায়িত থাকতে হবে,
- নমুনা স্বাক্ষর কার্ড (আবেদনকারী কর্তৃক ব্যাংক কর্মকর্তার সম্মূখে স্বাক্ষর করতে হবে),
- কোন স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ (সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ) কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি,
- বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি (বায়িং হাউজ, ইন্ডেটিং বা অন্য কোন নির্দিষ্ট ব্যবসার জন্য),
- আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত ট্যাক্স আইডিন্টিফিকেশন নাম্বার এবং প্রতিষ্ঠানের মালিক পরিচয় নিশ্চিতকরণের জন্য একক ও যৌথ হিসাবে যেসব দলিলের উল্লেখ রয়েছে তার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। যদি ট্রেড লাইসেন্স-এ স্বত্ত্বাধীকারীর ছবি ও স্বাক্ষর থাকে তাহলে শর্তটি প্রয়োজ্য হবেনা।
লিমিটেড কোম্পানী হিসাব
- ব্যাংকের নির্দিষ্ট আবেদনপত্র
- কোম্পানীর মেমোরান্ডাম ও আর্টিকেল অব এসোসিয়েশের সার্টিফাইড কপি।
- পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে ব্যবসা শুরুর সার্টিফিকেট।
- হিসাব খোলা ও পরিচালনার জন্য সহ-অংশীদারের যথাযথ অনুমতি ও একাউন্ট পরিচালনাকারীর প্রত্যয়ন পত্র দেখাতে হবে।
- নির্দিষ্ট ফরমে পরিচালকদের নাম ও ঠিকানা।
- স্বাক্ষরকারীদের ছবি।
- ট্রেড লাইসেন্সের কপি।
- আবেদনপত্রে ও আবেদনকারীদের ছবির পেছনে পরিচিতিদানকারীর স্বাক্ষর।
- হিসাব পরিচালনাকারীদের নামের তালিকা, নিয়োগপত্র ও নমুনা স্বাক্ষর।
অংশীধারী মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের হিসাবঃ
- ব্যাংকের নির্দিষ্ট আবেদনপত্র (সংশ্লিষ্ট ব্যাংকারের সামনে স্বাক্ষর করতে হবে)।
- অংশীদারত্বের চুক্তিপত্র।
- অংশীদারদের সভায় গৃহীত নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তসমূহের অনুলিপি।
- অংশীদারদের ঠিকানাসহ নামের তালিকা।
- ট্রেড লাইসেন্সের কপি।
- স্বাক্ষরকারীদের/ অংশীদারদের ছবি।
- নমুনা স্বাক্ষর (সংশ্লিষ্ট ব্যাংকারের সামনে স্বাক্ষর করতে হবে)।
- আবেদনপত্রে ও আবেদনকারীদের ছবির পেছনে পরিচিতিদানকারীর স্বাক্ষর।
- ব্যক্তিগত হিসাব খোলার ক্ষেত্রে বর্ণিত নিয়মানুসারে সব পরিচালক ও অংশীদারের পরিচিতিমূলক তথ্য প্রদান করতে হবে। হিসাব খোলা ও পরিচালনার জন্য সব অংশীদারের যথাযথ অনুমতি ও হিসাব পরিচালনাকারীর প্রত্যয়নপত্র দেখাতে হবে।
- প্রকৃত ব্যবসা ও অংশীদারত্বের প্রমাণ হিসেবে সর্বশেষ পরিচালনা রিপোর্ট ও অডিট রিপোর্ট (যেখানে প্রযোজ্য) প্রদর্শন করতে হবে। ব্যবসায় ও অংশীদারত্বের প্রকৃতি সম্পর্কে তথ্য যা হিসাব খোলার উদ্দেশ্যকে সমর্থন করে।
বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবঃ
বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে নির্দিষ্ট কোনো বৈদেশিক মুদ্রায় টাকা জমা রাখা যায় এবং প্রয়োজনে তা টাকাতে রূপান্তর করা যায়। প্রবাসী বাংলাদেশি, বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব খোলার আবেদন করতে পারেন।
বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব খোলার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য:
বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব খোলার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছে নিচের তথ্যসহ আবেদন করতে হয়
- কোন মুদ্রায় এটি পরিচালিত হবে,
- হিসাবধারীর নাম,
- পাসপোর্ট নম্বর,
- পাসপোর্ট ইস্যুর তারিখ,
- পাসপোর্ট ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নাম,
- বিদেশে বর্তমান ঠিকানা,
- বাংলাদেশে বর্তমান ঠিকানা,
- টেলিফোন নম্বর,
- নমিনির ঠিকানা।