মোস্তফা ওয়াদুদ; বিশেষ প্রতিনিধি, আওয়ার ইসলাম
রাত পার হলেই কুরবানির ঈদ। সবাই গরু কেনায় ব্যস্ত। দেশের কওমি মাদরাসাগুলোতে চলছে আগামীকালের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। উস্তাদগণ ইতিমধ্যে ছাত্রদের বিভিন্ন এলাকা, গলি, অঞ্চল ভাগ করে দিয়েছেন। চামড়া কালেকশনের জন্য। পাশে থেকে সবকিছু নেগরানি করছেন। দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন বিভিন্নভাবে। আজ কুরবানির আগের দিন হিসেবে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা। হিসেবও কষছেন অনেকেই।
মাদরাসার একটি বৃহৎ আয়ের উৎস এ দিনের কুরবানির চামড়ার টাকা। এই একদিনের আয় দিয়ে প্রায় কয়েকমাসের খরচ চলে যায়। তাই এদিনের গুরুত্ব মাদরাসাগুলোর কাছে অনেক। তবে মাদরাসাগুলোর চামড়া কালেকশন নিয়ে ইদানিং কথাও কম হয় না।প্রশ্ন তোলেন অনেকে। সমাজে নেতিবাচক প্রভাবও লক্ষণীয়। আবার খোদ মাদরাসার ছাত্র শিক্ষকদের মধ্যেও রয়েছে বিরুপ প্রশ্ন। তারা খুঁজতে শুরু করেছেন আসলেই চামড়া কালেকশন ছাড়া মাদরাসার আয় বাড়ানো সম্ভব কিনা।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মুহাদ্দিস আল্লামা জোনায়েদ বাবুনগরীকে। তিনি বলেন, শুধু কুরবানির উপরে হিসেব করলে মাদরাসাগুলো চলবে না। এর বাইরে অন্যান্য বিষয়গুলোও তাদের দেখতে হবে। বিশেষত: যাকাত, ফেতরা, সদকাহ বা সাধারণ দানের দিকেও তাদের নজর দিতে হবে।
কুরবানির দিন মাদরাসার ছাত্ররাদের চামড়া কালেকশন নিয়ে অনেক সময় এলাকার মানুষ প্রশ্ন তুলেন, এ বিষয়ে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, এটা মাদরাসার এতিম-মিসকিন ছাত্রদের হক। তারা তাদের হক উস্তাদদের নেগরানীতে নিজেরা কালেকশন করে আনে। এটা কি দোষের কোনো বিষয়? তাছাড়া চামড়া কালেকশন কেনো করবে? এ জাতীয় প্রশ্নই ঠিক না। কারণ চামড়া কালেকশনের ব্যাপারে মাদরাসার উস্তাদ, ছাত্র কারোই কোনো ধরনের আপত্তি থাকে না।
অনেক ছাত্রই কুরবানির এ কাজ করতে চান জানালে তিনি বলেন, এরকম কোনো নিউজ আমার জানা নেই। আমার কানে এরকম কোনো সংবাদ আসেনি। যদি কেউ এরকম থেকেও থাকে তাহলে সে নববী মাদরাসার পরিবেশের সাথে হয়তো মিশতে পারেনি।
আরআর