আওয়ার ইসলাম: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার মান্য করার শ্লোগান নিয়ে ক্ষমতায় এলেও সংখ্যালঘু মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক ও বর্ণবাদী নীতি অব্যাহত রেখেছে মিয়ানমারের নতুন সরকার। বিগত বছরগুলোর মত এবারও হজ থেকে বঞ্চিত করেছে রোহিঙ্গা মুসলমানদের।
সরকারের পূর্বের নীতির প্রতি অটল থাকার ফলে প্রায় ১৫ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমান বছরের পর বছর ধরে ইসলাম ধর্মের এ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
১৯৮২ সালে গৃহীত এক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিদেশি এবং এ দেশের নাগরিক নয় বলে ঘোষণা দেয় মিয়ানমার সরকার। এ সিদ্ধান্তের ফলে রোহিঙ্গারা নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং দেশ ব্যাপী তারা প্রবাসী হিসেবে পরিচয় পায়।
আরকান রাজ্যের বাসিন্দা মরিয়ম খাতুন (৪৫) জানিয়েছেন, আমরা অত্যন্ত নাজুক পরিস্থিতিতে আরাকানে বসবাস করছি। আমরা মুসলিম বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন এবং একটি বড় কারাগারে জীবন-যাপন করছি। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আমাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছে। আমাদের কোন ধরনের পরিচয় পত্র প্রদান করা হয় না। ফলে আমরা হজে যেতে পারি না।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকার আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও নামাযের জন্য সমবেত হওয়ার উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আমরা ঐ দিনের প্রতিক্ষায় রয়েছি যেদিন আমাদের অধিকার ফেরত দেয়া হবে এবং আমরা হজ পালন করতে পারবো।
নাঈম সিদ্দিক (৬২) বলেন, বহু বছর যাবত প্রতিক্ষায় আছি যে, মুসলমানদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হজে অংশগ্রহণ করবো।
সূত্র: ইকনা