এতে সাবেক কাউন্সিলর জেবুন্নাহার শিরিনসহ প্রায় ১২জন মুসল্লি আহত হন। গুলিবিদ্ধ হন প্রায় ৭ জন। পথচারীসহ অনেকে ইট পাটকেল এর আঘাতে আহত হন।
এ ঘটনার পর তিন সদস্যের একটি কমিঠি গঠন করা হয়েছে। তারা আটককৃত মুসল্লিদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে বিষয়টি নিস্পত্তি করতে পুলিশ প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতারা উদ্যেগী হয়েছেন। গতকাল বিকেলে সিলেট স্টেডিয়ামের কনফারেন্স রুমে সিলেট প্রশাসন এর উদ্যেগে রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের নিয়ে প্রায় আড়াই ঘন্টা ব্যাপী সমঝোতা মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার জামাল উদ্দিন আহমেদ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ এর অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্ল্যাহ জানান, ঘটনার তদন্তে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মাঈনুল হাসানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিঠি গঠন করা হয়েছে। কমিঠিকে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিঠি ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের চিহ্নিত করবে এবং সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আটককৃত মুসল্লিদের ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সিলেটে অতীতে এ ধরনের ঘটনা বিরল। এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মজবুত। ইসকনের ঘটনা উদ্দোশ্য প্রণোদিত কিনা এমন কথাও উঠেছে গতকালের ঘটনার পর। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট জামেয়া আমিনিয়া মংলিপার হাজীনগর মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান আওয়ার ইসলামকে বলেন, সিলেটের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ইসকন সম্প্রদায় মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দিয়েছে। ধৈর্যের সাথে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা দরকার।
একই বিষয়ে অভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাব। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি আওয়ার ইসলামকে বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত দুখ:জনক। সিলেটের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হল।
প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান আওয়ার ইসলামকে বলেন, সিলেটের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ইসকন সম্প্রদায় মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দিয়েছে। ধৈর্যের সাথে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা দরকার।
তিনি বলেন, ইসকন সম্প্রদায় উস্কানি দিয়ে যে ঘটনা র জন্ম দিল তার মাধ্যমে তারা নিজেদের উগ্রবাদী হিসেবে পরিচয় দিল। তাদের মধ্যে সহনশীলতার কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থল মধুশহীদ মসজিদের ইমাম মাওলানা শহীদ আহমদ জানান, গতকাল জুমার নামাজ শেষ করে সুন্নত আদায় করছিলাম তখন বাইরে চিল্লাচিল্লি শুনে মসজিদ থেকে বের হয়ে দেখি মন্দির থেকে ইট পাটকেল ছুড়ে মারছে। আবার ওদিক থেকে মুসল্লিরাও ইট পাটকেল মারছে। ঘটনার জন্য আমি দু পক্ষকে দায়ী করছি।
তবে ইসকনদের অনেক দিন থেকে নামাজের সময় গান বন্ধ রাখতে বলা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি বলে জানান ইমাম শহীদ আহমদ। তিনি বলেন, তারা সচেতন হলে এই ঘটনা ঘটত না। এই রকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে এই জন্য প্রশাসন ও মিডিয়ার শক্ত ভূমিকা দরকার।
আরআর