যশোর প্রতিনিধি: যশোরের একটি মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ ইয়াহিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বেশ কিছুদিন আগে তিনি হঠাৎ করেই যশোর শহর থেকে নিখোঁজ হন। স্থানীয়রা দাবি করেছেন তার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জে নিহত জঙ্গি ফজলে রাব্বীর ঘনিষ্ঠতা ছিল।
রাব্বীর নিখোঁজ হওয়ার পেছনে ইমাম ইয়াহিয়ার সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করেছিলেন রাব্বীর বাবা। রাব্বী নিখোঁজ হওয়ার পর এ ব্যাপারে গত ৭ এপ্রিল তিনি যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন।
জিডিতে তিনি রাব্বী নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে এমন সন্দেহে স্থানীয় মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর মসজিদের ইমাম ওবায়দুল্লাহ ও শহরতলী কিসমত নওয়াপাড়ার দোকানদার রাশেদ ও নওয়াপাড়ার সুমনের নাম উল্লেখ করেন।
পরবর্তীতে জিডির বিষয়টি জানাজানি হলে ইয়াহিয়াকে মসজিদের ইমামের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে ইয়াহিয়া সদর উপজেলার বাহাদুরপুর দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা ও এতিমখানায় শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। সেখান থেকেই তিনি নিখোঁজ হন।
এ বিষয়ে ইয়াহিয়ার চাচা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গত ২৮ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার বাহাদুরপুর দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা ও এতিমখানা থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে কিছু ব্যক্তি ইয়াহিয়াকে তুলে নেয়। পরে স্থানীয় ফাঁড়ি ও থানায় খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু আজ (১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাচ্ছি না।’
এ প্রসঙ্গে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘কোতোয়ালি থানা পুলিশ ইয়াহিয়া নামে কাউকে আটক করেনি। তবে অন্য কেউ তাকে আটক করেছে কি না সেটা আমার জানা নেই।’
স্থানীয়রা জানান, যশোর শহরতলীর কিসমত নওয়াপাড়া বিশ্বাসপাড়া মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালনকালে জঙ্গি ফজলে রাব্বীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে ইয়াহিয়ার। এ বছর ৫ এপ্রিল নিখোঁজ হয়েছিলেন রাব্বী।
আরো পড়ুন: মসজিদের পুকুরে ইমামের লাশ
এআর