আওয়ার ইসলাম: অতিরিক্ত ছোট ও আটশাট পোশাক পরে স্কুলে আসায় শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে এক ছাত্রীকে। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্কুলে। স্কুলটির কর্তৃপক্ষ বেলা জোনস নামের ১১ বছরের ওই ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়। তার পরনের প্যান্ট এতটাই আটশাট ছিল যা স্কুলটির বিধি ভঙ্গ করে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট এ খবর জানিয়েছে। পত্রিকাটি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস অঙ্গরাজ্যের ল্যান্সিং মিডল স্কুলের ছাত্রী বেলা জোনস। ২৪ আগস্ট গোলাপী রঙের শীতের পোশাক এবং লেগিংস পরে স্কুলে যায়। তার মা কিম্বার্লি জোনস জানান, পোশাকের বিধি ভঙ্গের অভিযোগে বেলাকে স্কুলের অফিসে ডেকে পাঠানো হয়।
স্কুলের যোগাযোগ বিষয়ক সমন্বয়ক নিনেভাহ কারভান জানান, স্কুলে মেয়েদের একজন তত্ত্ববধায়ক ওই পোশাকটি মেপে দেখেছেন এবং অতিমাত্রায় আটশাট বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ওই তত্ত্বাবধায়ক আমাকে জানিয়েছেন, তিনি পোশাকটি মেপে দেখেছেন। এটা সামনে এবং পেছন থেকে ছিল খুবই খাটো এবং আটশাট।’
পরে বেলাকে ধার করা একটি ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করায় ওই নরী তত্ত্বাবধায়ক। এই সময়ে মায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দেয়া হয়নি তাকে। তবে বেলা তার মাকে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে বিষয়টি জানায়। মা স্কুলে এসে বেলাকে নিয়ে যায় এবং নিজের ফেসবুকে ঘটনাটি নিয়ে একটি পোস্ট দেয়।
বেলার মা কিম্বার্লি জোনস জানান, স্কুলে নিষিদ্ধ পোশাকের তালিকায় লেগিংস ছিল না। স্কুলের নীতিতে শুধু বলা হয়েছে, ‘দেহের অবয়ব প্রকাশকারী কিংবা আবেদনময়ী কোনো পোশাক পরিধান করা যাবে না।’
জোনস আরো বলেন, ‘অন্যদের কাছ থেকে আমি জানতে পেরেছি, বেলার ব্যাপারে এই পদক্ষেপের কারণ: ১৩ বছর বয়সী কিছু ছেলে তার আশপাশে ঘুরঘুর করছিল এবং তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছিল না।’
ঘটনার পরে পোশাকের বিধি সংক্রান্ত নতুন একটি নীতি প্রকাশ করেছে ল্যান্সিং মিডল স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেখানে লেগিংস পরিধান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
স্কুলে পোশাকের বিধি ভঙ্গের বিষয়টি বেশ কয়েক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। অনেকের অভিযোগ, শুধু মেয়েদের ক্ষেত্রেই পোশাকের বিধি প্রয়োগ করা হচ্ছে। এটা লিঙ্গবৈষম্য। ছেলেদের হয়রানি থেকে মেয়েদের রক্ষার জন্য এ ধরনের নীতি এক ধরনের বিপজ্জনক বার্তা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ অনেকের।
আরআর