আওয়ার ইসলাম : জাতীয় পুরস্কার-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি গত বুধবার জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারের পাশাপাশি জাতীয় জাদুঘর থেকে ওই পুরস্কারের মেডেল ও সম্মাননাপত্র সরিয়ে ফেলার সুপারিশ করে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র কমিটির এই সিদ্ধান্তের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বিএনপি বলেছে, সরকার এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বড় ধরনের সংকীর্ণতার পরিচয় দিয়েছে। আর আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা ঠেকাতে এবং উচ্চ আদালতের রায় কার্যকর করতে এটা করা হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, মন্ত্রিসভা কমিটি মনগড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এটা উচ্চ আদালতের রায়ের কারণে নিতে হয়েছে। বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছিল, মানবতাবিরোধীদের রক্ষা করেছিল। দলটির নেতারা পদে পদে প্রমাণ করেছেন যে, তারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি নন।
২০০৩ সালে তৎকালীন বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। সে সময় পুরস্কারের মেডেল, সম্মাননাপত্র কোনো উত্তরাধিকারকে না দিয়ে জাতীয় জাদুঘরের একটি কর্নারে যথাযোগ্য মর্যাদায় সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখন বিরোধী দলে থাকা আওয়ামী লীগ এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জিয়াউর রহমানকে পুরস্কার দেওয়ায় আপত্তি তুলেছিলো দলটি।
এফএফ