আওয়ার ইসলাম: ইতালির মধ্যাঞ্চলে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ জনে। এখনো শতাধিক নিখোঁজ রয়েছে। ৬ দশমিক ২ মাত্রার এই ভূমিকম্পে ধসে পড়া বাড়িঘরের নিচে আটকা পড়েছে অনেকে। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৩৬ মিনিটে এই শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
দেশটির পেরুজিয়া শহরের অদূরে রোমের ৬৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল আমাত্রিসের কাছে অ্যাকুমালিতে নিহতের সংখ্যা বেশি। আমাত্রিসে চার ভাগের তিন ভাগ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। তাই নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
পেরুজিয়া শহরের মেয়র বলেন, ভূমিকম্পে শহরের অর্ধেকই ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইতালির ‘লা রিপাবলিকা’ পত্রিকা জানায়, ভূমিকম্পের সময় রাজধানী রোমের কিছু ভবন ২০ সেকেন্ড ধরে কাঁপছিল।
ইতালির অ্যাকুমালি শহরের মেয়র স্টেফানো পেতরুচ্চি দেশটির রাই টিভিকে বলেন, শহরের ধসে পড়া একটি ভবনের নিচে চাপা পড়ে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছে।
অপর এক প্রতিবেদনে রাই টিভি জানায়, পেসকারা দেল ত্রন্তো শহরের কাছে একটি গ্রামে ১০ নিহত হয়েছে। আরো ২০ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানা গেছে, আমাত্রিস শহরেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে সর্বশেষ খবরে পাঁচজন নিহতের কথা জানা গেছে। শহরের মেয়র সারজু পেরোজ্জি রাই রেডিওকে বলেন, শহরে যাতায়াতের সড়ক ভেঙে পড়েছে। শহরের অর্ধেকই ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইতালির বেসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তর ভূমিকম্পকে ভয়াবহ বলে বর্ণনা করেছে।
লা রিপাবলিকা পত্রিকা জানায়, প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৪ বলা হয়। পরে আরো কয়েকবার বেশ শক্তিশালী ভূকম্পন হয়।
ইতালির বিভিন্ন শহরের ধ্বংসস্তূপ থেকে শিশু ও বৃদ্ধসহ অনেক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছেন জরুরি বিভাগের কর্মীরা।
ইতালির আমব্রিয়া অঞ্চলের চেজেল্লি এলাকার বাসিন্দা লিনা মার্সেলিনা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ভূমিকম্প এতটাই শক্তিশালী ছিল যে তাঁর মনে হয়েছিল, বিছানাগুলো নিজ থেকেই হাঁটাহাঁটি করছে।
এর আগে ২০০৯ সালে ইতালির আকুইলা অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পটি রোম থেকেও টের পাওয়া যায়। ওই ভূমিকম্পে তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়।
সূত্র: এনটিভি