কদিন আগে ফ্রান্সে বোরকা ও বুরকিনি নিষিদ্ধের করা হয়েছে। নারীরা এমন ঢাকা শরীরে বাইরে বের হওয়া কিংবা সুইমিংপুলে সাতার কাটতে পারবে না। সেই নিষেধাজ্ঞাপর পর পরই দেশটিতে পুরো শরীর ঢাকা বোরকা বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ। খবর এএফপির
খবরে বলা হয়েছে বিশেষ এ ইসলামি পোশাক বুরকিনির ওপর ফ্রান্সে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এটির বিক্রি এবং এর প্রতি আকর্ষণ অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে অমুসলিম নারীদের মধ্যেও এ প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। তারা এই পোশাকের জন্য প্রচুর অর্ডার দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার বোরকা ও বুরকিনির অস্ট্রেলীয় ডিজাইনার এ কথা জানান।
৪৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ার এ ডিজাইনার বলেন, ‘আমি আপনাদের জানাতে পারি যে রোববার অনলাইনে আমরা ৬০টি বুরকিনির অর্ডার পেয়েছি। এগুলোর সবই অমুসলিম নারীরা অর্ডার দিয়েছেন। সাধারণত রবিবার তিনি ১০ থেকে ১২টি বুরকিনির অর্ডার পেয়ে থাকেন।
ফ্রান্সে ধারাবাহিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর চরম উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে দেশটিতে বুরকিনি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ১৫টি শহরে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। তবে লেবানন বশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক আহেদা জেনাত্তি জানান, ফ্রান্সে উন্মাদনার কারণে তার এ পোশাক আরো প্রচারণা পাওয়ায় এর প্রতি আকর্ষণ অনেকে বেড়ে গেছে।
তিনি জানান এ পোশাকের ট্রেডমার্ক নাম বুরকিনি। এক দশকেরও বেশি সময় আগে মুসলিম নারীদের সাঁতার কাটার জন্য প্রথম এই পোশাক তৈরি করা হয়।
আরআর