আওয়ার ইসলাম: ঢাকার বাইরে পবিত্র ঈদুল আযহার কুরবানি নির্দিষ্ট স্থানে করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ঢাকা শহরে কুরবানি নির্দিষ্ট স্থানে দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক সমম্বয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের কথা স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানি করার ক্ষেত্রে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ যেন ক্ষুণ্ন না হয় সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পৌর এলাকা ও জেলা সদরে যেন নির্দিষ্ট স্থানে পশু কুরবানি হয় সে বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত করবে। একই সঙ্গে তারা কোথায় কতগুলো পশু কুরবানি হবে, পশুগুলো কোথায় রাখা হবে, পশু জবাই কে করবেন, কুরবানি শেষে কিভাবে ময়লা পরিষ্কার করা হবে এবং মাংস বিতরণ কিভাবে হবে তারও কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে দিবেন। নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবকে অবহিত করতে হবে।
কোথায় কতগুলো পশু কুরবানি হবে, পশুগুলো কোথায় রাখা হবে, পশু জবাই কে করবেন, কুরবানি শেষে কিভাবে ময়লা পরিষ্কার করা হবে এবং মাংস বিতরণ কিভাবে হবে তারও কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে দিবেন জেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আযহার কুরবানি নির্দিষ্ট স্থানে করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল। চলতি বছর প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন বাস্তবায়ন কমিটির সভায় এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
সারাবিশ্বের মুসলিম দেশগুলোতে পশু কুরবানি নির্ধারিত স্থানে হয়ে থাকে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে পশু কুরবানি নির্দিষ্ট স্থানে করতে জনগণকে তৃণমূল পর্যায়ে উদ্বুদ্ধ করতে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রয়োজনে একাধিক স্থান নির্ধারণ করার জন্যও বলা হয়েছে।
সুত্র: আমাদেরসময়.কম