আওয়ার ইসলাম: ইউরোপের সকল দেশের রাজধানীতে মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্য মসজিদ অথবা ইবাদতের নির্দিষ্ট স্থান থাকলেও ব্যতিক্রম গ্রীসের রাজধানী এথেন্স। শহরটিতে মুসলমানদের ইবাদত বন্দেগীর জন্য কোন মসজিদ অথবা ইবাদতের নির্দিষ্ট স্থান নেই। এ কারণে এখানকার মুসলিমদের বিপদে পড়তে হয় প্রায় সময়ই।
এথেন্সের মুসলিমরা জামায়াতে নামাজ আদায়ের জন্য অধিকাংশ সময় পুরনো ও পরিত্যাক্ত ভবনগুলোতে জমা হয়। এখানেই সেরে নেন প্রয়োজনীয় ইবাদত এবং পরামর্শ। তবে এই অভিজ্ঞতাগুলোও খুব একটা সুখকর নয়। পরিত্যাক্ত এসব ভবনে ইবাদতেও ভোগান্তির শিকার হতে হয় নানাভাবে।
এথেন্সের মসজিদ না থাকার কারণে ইউরোপের বেশ কয়েক জন বিশেষজ্ঞ মনে করেন, সেদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে প্রশ্নের সম্মুখে অবস্থান করছে এবং এটি গ্রিসের ভবিষ্যতের জন্য নেতিবাচক একটি দিক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মুসলমানদের ধর্মীয় কাজ করতে না দেওয়া অথবা তাদের দেশের প্রকৃত অধিকার থেকে বঞ্চিত করার মাধ্যমে সেদেশে চরমপন্থিদের পথ প্রশস্ত করে দেওয়া হচ্ছে।
প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এথেন্সে মোট ৪০ লাখ অধিবাসীর মধ্যে ২ লাখের অধিক মুসলিম অধিবাসী রয়েছে। মুসলিম অধিবাসীদের মধ্যে অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার শরণার্থী।
তবে খুশির বিষয় হলো, কয়েক দিন পূর্বে গ্রীসের সংসদ প্রতিনিধিরা এক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এথেন্সে প্রথম মসজিদ নির্মাণের জন্য সমর্থন প্রদান করেছে। অবশ্য এক্ষেত্রে কিছু সংসদ সদস্যরা বিরোধিতাও করেছে।
কিছু প্রশাসনিক বাধার কারণে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রায় ১০ বছর স্থগিত ছিল; কিন্তু সংসদ প্রতিনিধির উদ্যোগে এই সমস্যা সমাধান হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এথেন্সে প্রথম মসজিদ নির্মাণের জন্য ৯ লাখ ৪৬ হাজার ইউরো ব্যয় হবে।
মসজিদটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে এথেন্সের মুসলিমদের ইবাদতের ভোগান্তি অনেককটাই কমবে বলে মনে করেন সেখানকার বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: ইকনা