দিদার শফিক: জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, পানির খরস্রোতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের পর মধ্যাঞ্চলও দ্রুত প্লাবিত হওয়ায় বন্যাকবলিত অঞ্চলের মানুষ দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। কুড়িগ্রামে ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া, মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মা নদীর চরাঞ্চল, জামালপুরের ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জে বন্যার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ফলে মানুষ ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। খাদ্য-পানীয় ও পুনর্বাসন সঙ্কটজনিত দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো, ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা সরকার, বিত্তবান সকলের দায়িত্ব।
গতকাল জামেয়া মাদানিয়া বারিধারা মিলনায়তনে আগামী ১৮ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে জমিয়তের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মুহি উদ্দীন খান রহ. এর স্মরণসভার প্রস্তুতিমূলক মিটিংয়ে জমিয়ত মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী এ কথা বলেন।
জমিয়ত সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসূফীর সভাপতিত্বে উক্ত মিটিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকামহানগর জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ জামী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাইখুল হাদীস মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক ও প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী আরো বলেন প্রাকৃতিক দুর্যোগে যারা মানবেতর জীবন যাপন করছে তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা এবং সাধ্যমত তাদেরকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া ইসলামের একটি বিরাট শিক্ষা। এ জাতীয় কার্যক্রম সম্পদনকারী খুব সহজে আল্লাহর রহমত লাভে ধন্য হয়।
আরআর