আওয়ার ইসলাম: কক্সবাজারে টেকনাফে উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ায় ভাসমান রোহিঙ্গাদের মধ্যে টাকা ও ত্রাণ বিতরণের প্রস্তুতিকালে সৌদি নাগরিকসহ চারজনকে আটক করে হেফাজতে রেখেছে বিজিবি।
বিজিবির টেকনাফের ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজর আল জাহিদ গতকাল বেলা ১টায় তাদের আটক করা হয়েছে বলে মিডিয়াকে জানান।
দৈনিক নয়া দিগন্তের অনলাইন খবরে বলা হয়েছে, আটককৃতদের মধ্যে সৌদি নাগরিকের নাম আহমেদ সালেহ আল গাম্বি। অন্য তিনজনের মধ্যে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর একটি মাদরাসার শিক্ষক মো: ইব্রাহিম, কক্সবাজার ইমাম মুসলিম সেন্টারের পরিচালক হাফেজ সালাউল ইসলাম ও অন্যজন বাড়ির মালিক মাওলানা ছৈয়দ করিম। তাদের টেকনাফের শামলাপুরের মাওলানা ছৈয়দ করিমের বাসা থেকে আটক করা হয়।
এরমধ্যে হাফেজ সানাউল নিষিদ্ধ সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারেটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।
এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টেকনাফের উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার শামলাপুরের নতুনপাড়ায় গতকাল দুপুরে মো: সৈয়দ করিমের বাসায় একদল জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতারা গোপন বৈঠক করে ওই এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে টাকা ও ত্রাণ বিতরণের সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ ইকবালের নেতৃত্বে বিজিবি জওয়ানেরা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে বিজিবির হেফাজতে দেয়।
তবে এই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও বাহারছড়া চেয়ারম্যানসহ ছয়-সাতজন জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতা পালিয়ে যান।
আটককৃতরা টেকনাফের ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছে।
এর আগে গত রমজানেও হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা বস্তিতে টাকা ও চাল বিতরণের সময় চীনা নাগরিকসহ সাতজনকে আটক করেছিল বিজিবি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, হাফেজ সানাউল ইসলামের আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততার ব্যাপারে নানা উদ্বেগজনক তথ্য পেয়েছে । তার মোবাইলে প্রচুর আরবি ইনবক্স আছে। আর এসব ইনবক্স অনুবাদ করে গোপন তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে বাংলামেইল জানিয়েছে, টেকনাফে অবৈধ রোহিঙ্গা বস্তিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অভিযানে বাধা দিয়েছেন কক্সবাজার-৪ (টেকনাফ-উখিয়া) আসনের সরকার দলীয় ‘আলোচিত’ সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুর রহমান বদি ও তার সহযোগীরা। তবে বিজিবির অনড় অবস্থানে একপর্যায়ে পালিয়ে বাঁচেন এমপি বদিসহ চার জনপ্রতিনিধি।
পালিয়ে যাওয়া প্রভাবশালী এমপি আবদুর বদি সঙ্গে অন্যরা হলেন, টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান মৌলভী রফিক উদ্দিন এবং বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মৌলভী আজিজ উদ্দিন। তাদের নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন উঠেছে। এদের সঙ্গে জঙ্গিদের কী ধরনের সম্পর্ক তা খতিয়ে দেখছে বিজিবি।
আরআর