দিদার শফিক; বিশেষ প্রতিনিধি, আওয়ার ইসলাম
দুর্যোগ কবলিত মানুষের সাহায্যে মাওলানা মুহি উদ্দীন খান স্বউদ্দোগী হয়ে এগিয়ে আসতেন। মানুষের সাহায্য বিচলিত থাকতেন তিনি। ইসলামী পত্রিকা পরিষদ বাংলাদেশ আয়োজিত ‘দীনি দাওয়াত ও সাহিত্য সাংবাদিকতায় মাওলানা মুহিউদ্দীন খান রহ.’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মমাহফিলে জমিয়ত নেতা আব্দুর রব ইউসূফী এ কথা বলেন।
শনিবার (৩০ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুফতি আবুল হাসান শামসাবাদী।
আলোচনা সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দীন বলেন, দেশ বিদেশে সর্বত্র মুসলমানদের দুর্দিনে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হয়ে আত্মপ্রকাশ করতেন মুহিউদ্দীন খান। ইসলাম ও মুসলমানদের খেদমতে তার অবদান অন্যন।
দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পদক উবায়দুর রহমান নদভী বলেন, গত ৬৫ বছর অবিরাম ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতা করে গেছেন মাওলানা মুহিউদ্দীন খান।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসায় বাংলা সাহিত্যের উন্নতির মূলে রয়েছেন মাওলানা মুহিউদ্দীন খান।
খেলাফত আন্দোলন মহাসচিব মাও জাফরুল্লাহ খান বলেন, তার সাহিত্যকর্ম সদকায়ে জারিয়া হয়ে থাকবে অনন্তকাল।
লেখক ও গবেষক মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন বলেন, আমার মত এ দেশের হাজার হাজার তরুণকে খান সাহেব লেখক বানিয়েছেন।সাহিত্য শব্দটাকে তিনি গায়ে জড়াতে চাইতেন না, পড়ার মত করে ধর্মীয় বই মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারটি তিনি গুরুত্ব দিতেন অপেক্ষাকৃত বেশি।
আহমদ বদরুদ্দীন খানের পরিচালনায় সভায় মাওলানা মুহিউদ্দীন খান স্মরণে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামি পত্রিকা পরিষদের সেক্রেটারি ড. ইসমাঈল হোসাইন, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, শিক্ষক ও গবেষক মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন, মাওলানা ঈসা শাহেদী, মাওলানা আজিজুল হক মুরাদ, মোস্তফা মুঈনুদ্দীন খান, মাওলানা নেয়ামাতুল্লাহ আল ফরিদী, শায়খ মুফতি উসমান গনি, মুফতি এনায়েতুল্লাহ, এম আতিকুল হক, মুহাম্মদ সিদ্দীক ও মাওলানা আবু দাউদ মো. জাকারিয়া প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে আহমদ বদরুদ্দীন খান বলেন, ব্যক্তি স্বার্থ ত্যাগ করে সর্বদলীয় ঐক্য গড়ে তুলতে খান সাবের আমরণ চেষ্টা ছিল।
আরো পড়ুন: মাওলানা মুহিউদ্দীন খান স্মরণে আলোচনা সভা
আরআর