খালিদ হাসান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ শহরের সোনালীপাড়ার থেকে নিখোঁজ পাঁচজনের মধ্যে সাবেক সেনা সদস্য কাউছার আলী ও মসজিদের ইমাম রোকনুজ্জামানকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ সদর থানায় সোপর্দ করেছে র্যাব-৬।
ঝিনাইদহ র্যাবের কমান্ডিং অফিসার মেজর মুনির জানান, বাড়ি ফিরে আসার খবর পেয়ে তারা এ দুজনকে আটক করে ঝিনাইদহ সদর থানায় সোপর্দ করেন।
তবে কাওছার আলীর স্ত্রী বিসকিস নাহার অভিযোগ করে বলেন, গত ৬ জুলাই তার স্বামী কাওছার আলী, দুই ছেলে বিনছার আলী ও বেনজির আলীসহ পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে যায়। তবে ঝিনাইদহ র্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে বরাবরই তাদের আটকের খবর অস্বীকার করে আসছিলেন।
এদিকে সাবেক সেনা সদস্য কাউছার আলী ও মসজিদের ইমাম রোকনুজ্জামানকে থানায় সোপর্দ করলেও এখনো বিনছার আলী, বেনজির ও হাফেজ আব্দুর রবকে এখনো পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, র্যাব কাউছার আলী ও রোকনুজ্জামান নামে দুই ব্যক্তিকে থানায় দিয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে কি অভিযাগ, কেন আটক করেছে এ ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। তবে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গেছে, জঙ্গী নিবরাস ইসলামকে সহায়তার দায়ে ঝিনাইদহের সোনালীপাড়া থেকে পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে যায় ঢাকা থেকে আসা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ঝিনাইদহ শহরের সোনালী পাড়ার ঠান্ডু মোল্লার ছেলে সাবেক সেনা সদস্য কাওছার আলী মোল্লা, তার দুই ছেলে ঝিনাইদহ কলেজের ছাত্র বিনছার আলী, নারিকেলবাড়িয়া কলেজের ছাত্র বেনজির আলী, হামদহ সোনলীপাড়া মসজিদের ইমাম যশোরের ঝিকরগাছার নায়রা গ্রামের রোকনুজ্জামান ও ছারশিনা মাদ্রাসার ছাত্র আদর্শপাড়া কচাতলা মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের কিশোর ছেলে হাফেজ আব্দুর রবকে আটক করে নিয়ে যায়।
ওএস