আওয়ার ইসলাম: গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় সম্পৃক্ততার সন্দেহে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়র (র্যাব) ঝিনাইদহের সোনালীপাড়ার জঙ্গি নিবরাসের আস্তানার মালিক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য কাওসার আলী ও পাশের মসজিদের ইমাম রোকনুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত দুজনকে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঝিনাইদহ সদর থানায় হস্তান্তর করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার ভোরে ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই সড়কে এলোমেলা ঘোরাফেরার সময় র্যাব তাদের আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
গত ১ জুলাই গুলশানে জঙ্গি হামলার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিব্রাসের পরিচয় বেরিয়ে আসে। সেই সূত্র ধরেই ঝিনাইদহের স্থানীয় লোকজন নিবরাস ইসলামকে শনাক্ত করে। তারা তখন জানায়, জঙ্গি নিব্রাস ইসলাম কাওছার আলীর বাড়িতে চার মাস ভাড়া ছিল। তার সঙ্গে ছিল আরো সাতজন। নিবরাস সেখানে ‘সাঈদ’ নাম নিয়ে থাকত। স্থানীয়দের সে বলেছিল, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য সেখানে এসেছে। স্থানীয় শিশুদের সঙ্গে সে খেলাধুলাও করত।
ঝিনাইদহ র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনির আহম্মেদ জানায়, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শহরের পাগলাকানাই এলাকায় সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করতে দেখে কাওসার আলী ও পার্শ্ববর্তী মসজিদের ইমাম রোকনুজ্জামানকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার সাথে সম্পৃক্ততা থাকতে পারে সন্দেহে তাদেরকে ক্যাম্পে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের ৬ জুলাই রাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী পরিচয়ে আটক করা হয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারের অন্যান্য সংস্থার লোকজন যদি তাদের গ্রেপ্তার করে সে ব্যাপারে আমি বলতে পারবো না।’ নিবরাস ও আবির ঝিনাইদহে ছিল এ বিষয়টি পুলিশ এতোদিন অস্বীকার করে আসছিল। তবে দু’জন ওই মেসে ছিল সে বিষয়টি গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছেন বলে জানান তিনি।
আরআর