মুফতি আবু সাঈদ জোবায়ের: আমাদের অনেকের বাসায়ই পুরনো কিছু কুরআন শরীফ আছে।বেশী পুরনো হয়ে যাওয়ার কারণে বা কিছুটা ছেঁড়াফাটা হয়ে যাওয়ার কারনে ওগুলো পড়া অনেকটা কষ্টের।বিশেষত মসজিদগুলোতে এমন পুরনো ছেঁড়াফাটা কুরআন শরীফ বেশী চোখে পড়ে। অনেকে এ নিয়ে আতংকে ভোগেন। পড়াও যাচ্ছেনা। আবার ঠিক কি করা উচিত তা ভেবেও পাননা।
ইসলাম এ ক্ষেত্রেও দিয়েছে পূর্ণ সচেতন দিক নির্দেশনা। ইসলামী আইন বিশারদগণ লিখেছেন, যে সকল কুরআন শরীফ অত্যধিক পুরনো হয়ে যাওয়ার কারনে লেখা মুছে গেছে বা ছিঁড়ে যাওয়ার কারনে পড়ার অনুপযোগী হয়ে গেছে, সেগুলোকে মুসলমান মৃত ব্যক্তির ন্যায় পবিত্র কাপড়ে পেঁচিয়ে সুরক্ষিত ও পবিত্র স্থানে দাফন করে দিবে।
অথ্যাৎ, ময়লার ভাগাড় বা অত্যধিক নোংরা স্থানের আশেপাশে দাফন করবেনা।বরং যেখানে সাধারণত মানুষ বা গরু ছাগল ইত্যাদি চলাফেরা করেনা এমন জায়গায় দাফন করতেহবে। এটিই সর্বোত্তম পদ্ধতি। এছাড়াও যদি চট বা অন্যকিছুর নাপাকিমুক্ত ছোট বস্তা বা থলেতে পুরে ভারি পাথর বা ইট বেঁধে নদী বা বড় জলাশয়ে ডুবিয়ে দেয়া হয়, তাহলে তাও জায়িজ হবে।কেউ কেউ জ্বালিয়ে দেয়ার কথা বলেছেন,তবে জ্বালিয়ে দেয়া ঠিক নয়।
কারন, জ্বালিয়ে দেয়ার মাধ্যমে কোরআনের যথায়থ হক আদায় হয় না। এরপরও যদি কেউ জ্বালিয়ে দেয়, তাহলে ছাইগুলোকে দাফন করে দিতে হবে বা নদীতে ভাসিয়ে দিতে হবে। তবে সর্বোত্তম পন্থা হল সরাসরি কাপড় পেঁচিয়ে দাফন করে দেয়া।
সূত্র:আল মুহিতুল বুরহানী, ৮/১০, ফতোয়া তাতারখানিয়া, ১৮/৬৮।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /আরআর