স্টাফ রিপোর্টার : অস্ত্রের জোরে নয়, ঈমানী শক্তি নিয়ে লড়াই করার আহ্বান জানিয়ে হেফাজতের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইনের ইসলাম বিরোধী ধারা উপধারা এবং ইসলাম ও নৈতিকতা বিধ্বংসী শিক্ষা সিলেবাস আমূল সংস্কার না করা হলে অচিরেই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে হেফাজতে ইসলাম মাঠে নামবে।
রোববার রাজধানীর লালবাগের সমন্বয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হেফাজতে ইসলামের ইফতার মাহফিলে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ইফতার মাহফিলে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, বাংলাদেশের বুকে মহান আল্লাহ তায়ালার পবিত্র বিধানের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে নাস্তিক মুরতাদ নামের একটি কুচক্রী মহল। তারাই আজ ইসলাম বিনাশী শিক্ষা আইন করে দেশকে ইসলাম শূন্য করার ষড়যন্ত্র করছে। আমাদেরকে ঈমানী বলে বলীয়ান হয়ে ন্যায়, ইনসাফ কায়েমে সত্যের হুঙ্কার দিতে হবে নির্ভীক কণ্ঠে। সব ভয়, হুমকি, ধমকি মাড়িয়ে বীর দর্পে এগিয়ে যেতে হবে। আমি বিশ্বাস করি বেঈমান নাস্তিক মুরতাদ অপশক্তি মোমের মত গলে পড়ে যাবে। আমাদেরকে অস্ত্রের জোরে নয় ঈমানী শক্তি নিয়ে লড়াই করতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইনের ইসলাম বিরোধী ধারা উপধারা এবং ইসলাম ও নৈতিকতা বিধ্বংসী শিক্ষা সিলেবাস আমূল সংস্কার না করা হলে অচিরেই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে হেফাজতে ইসলাম মাঠে নামবে।
ইসলাম বিনাশী শিক্ষা আইন প্রতিরোধে জাতি ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ বলেন, হেফাজতের কেল্লা হচ্ছে লালবাগ। এই কেল্লা থেকে হেফাজতকে আবার নবজাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের সকলকে এক ও নেক হয়ে কাজ করতে হবে।
হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, হেফাজতে ইসলাম রাজপথে ছিল আছে থাকতে হবে। এবং বাতিল প্রতিরোধে হেফাজতকে কঠিন ভূমিকা পালন করতে হবে।
হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক দলসমূহের পরস্পরবিরোধী অবস্থান, অবিশ্বাস, কেও কাওকে ন্যূনতম ছাড় না দেয়ার মানসিকতা এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইসলামী চেতনায় উজ্জীবিত না হওয়ার ফলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা। একটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে দেশের আলেম সমাজ। এই অবস্থা চলতে দেয়া যায় না।
মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, মাওলানা মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী , মুফতী তৈয়্যে হোসাইন, মাওলানা জসিম উদ্দীন, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াসেল, মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মুফতী রেজাউল করীম প্রমুখ।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম/ওএস