স্টাফ রিপোর্টার : ফের কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে পুলিশ। উগ্রপন্থিদের ধরতে আজ শনিবার থেকে বিভিন্ন স্থানে আবার সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে বলে আভাস দিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তার।
টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত স্লিপার সেলের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দুর্র্ধষ জঙ্গিদের বিষয়ে তথ্য পাওয়ার পর তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। মূলত ওই সব জঙ্গিকে গ্রেফতার করতেই এ অভিযান চালানো হবে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল হত্যাচেষ্টা মামলায় সুমন পাটোয়ারী ওরফে শিহাবের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) গুরুত্বপূর্ণ নেতাসহ আটজনের নাম পাওয়া গেছে। তার জবানবন্দিতে স্লিপার সেল তৈরির মাস্টারমাইন্ড সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হকের নাম উঠে আসার পর তাকে ধরতে গোয়েন্দারা কাজ করছেন। তিনি সংগঠনে ইশতিয়াক ও ইমতিয়াজ নামে পরিচিত। এ ছাড়া এবিটির স্লিপার সেল তৈরির মূল পরিকল্পনাকারীদের বিষয়েও তথ্য পাওয়া গেছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ সাংবাদিকদের বলেন, জঙ্গিদের ধরতে সব সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। তথ্য পাওয়ার পর তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে তৎপরতা আরো বাড়ানো হয়েছে।
ডিবি সূত্র বলছে, শুধু এবিটি নয়, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) ও হিযবুত তাহরীর সম্প্রতি কাটআউট পদ্ধতিতে কাজ করছে। একই সঙ্গে কথিত জিহাদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় সহযোগীরা একে অপরের প্রকৃত নাম ও ব্যক্তিগত তথ্য জানতে পারছে না। গোয়েন্দাদের নজর এড়াতে মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
জেএমবি এ পদ্ধতি অবলম্বন করে বেশ কয়েকটি অপারেশনাল সেল তৈরি করে হত্যার মিশন বাস্তবায়ন করছে। এ ক্ষেত্রে তারা বেছে নিয়েছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল। অন্যদিকে হিযবুত তাহরীরও অপারেশনাল সেল তৈরি করে মাঠে নেমেছে। এসব অপারেশনাল সেলের সদস্যদের বয়স সাধারণত ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।
১৫ জুন মাদারীপুরে কলেজশিক্ষক রিপন চক্রবর্তীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টাও করে হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা। এ সময় ফাইজুল্লাহ ওরফে ফাহিম নামের একজনকে আটক করে জনতা। এর দু’দিন পর শনিবার সকালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হন। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন পুরস্কার ঘোষিত জঙ্গি এবিটির স্লিপার সেলের প্রশিক্ষক মুকুল রানা।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম/ওএস