শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান শায়খে চরমোনাই’র নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় আ. লীগের ৪৮ নেতাকর্মী কারাগারে বিনা খরচে আরও কর্মী নেবে জাপান, সমঝোতা স্মারক সই সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সেই বিতর্কিত ব্যক্তি আটক জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল, নাম নির্ধারণ

মাসিক মদিনার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন খান আর নেই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

mkhanস্টাফ রিপোর্টার : বাংলা সাহিত্যের প্রবাদপুরুষ ও মাসিক মদিনার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন খান ইন্তিকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া-ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি অর্ধমাসেরও বেশি সময় লাইফ সাপোর্টে থেকে শনিবার বিকাল ৬ টা ১০ মিনিটে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে  শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল রোববার বাদ যোহর বাইতুল মোকাররমে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।

তীব্র শ্বাসকষ্টের কারণে ঢাকার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ল্যাব এইড হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। নাক ও মুখে নল ঢুকিয়ে কৃত্রিমভাবে তার শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে জ্ঞান ফিরে। কিন্তু তীব্র যন্ত্রণায় হাসপাতালের বিছানায় তিনি ছটফট করেন।

মুহিউদ্দিন খানের বড় ছেলে মোস্তফা মঈনুদ্দিন খান বলেন, তাঁর বাবা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসসহ কিডনি ও ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন। এক মাস ধরে তিনি ইসলামী ব্যাংক হাসপাতা ও ল্যাবএইডসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

মাওলানা মহিউদ্দীন খান বাংলাদেশের আলেম সমাজের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। তাফসিরে মাআরিফুল কুরআনের অনুবাদ ছিল তার কর্মজীবনের অনন্য অবদান। তিনি বাংলাদেশের ইসলামি রাজনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বেশ অবদান রাখেন।

তিনি মাওলানা আতহার আলী রহ. প্রতিষ্ঠিত নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় দায়িত্বে সমাসীন ছিলেন। পরবর্তীতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাথে ইসলামী শাসনতন্ত্রের জোরদার আন্দোলন চালিয়ে জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ২৫/২৬ ডিসেম্বর ঢাকার পটুয়াটুলী জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় জমিয়তের কাউন্সিলে তিনি জমিয়তের মহাসচিব নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালের ২৮ মার্চ জমিয়তের সহ-সভাপতি এবং ২০০৩ সালের ১লা জুন নির্বাহী সভাপতি নির্বাচিত হন।

এ ছাড়াও তিনি সাপ্তাহিক মুসলিম জাহানের প্রতিষ্ঠাতা। রাবেতা আলমে ইসলামীর কাউন্সিলর। মু’তামারুল আলম ইসলামীর বাংলাদেশ শাখার প্রেসিডেন্ট। জাতীয় সীরাত কমিটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। নাস্তিক-মুরতাদ প্রতিরোধ আন্দোলন ইসলামী মোর্চার সভাপতি। ইসলামী ঐক্যজোটের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান। জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের প্রধান। বিচিত্র এই প্রতিভাবান ব্যক্তির ইন্তিকালে বাংলাদশের জনগণ তাদের একজন আধ্যাত্মিক নেতাকে হারালেন।


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ