স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, পবিত্র মাহে রমযানেই ঐতিহাসিক বদরযুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছিলো। বদর দিবস প্রকৃতপক্ষে মুসলিম জাতির বিজয়ের দিন। তাকওয়াভিত্তিক ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে তাগুদী শক্তির পরাজয় ঘটানো সম্ভব। বাতিলের মোকাবেলায় তাকওয়াভিত্তিক ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই। নাস্তিক মুরতাদ ও ইসলাম বিরোধী শয়তানী শক্তিকে সমূলে উৎপাটনের জন্য ওলামায়ে কেরামের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের নামে ওলামায়ে কেরাম ও ইমাম/খতীবদের হয়রানি বন্ধে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। যদি কোনো নিরীহ ওলামাদের হয়রানি করা হয়, তাহলে দেশের লক্ষ লক্ষ ওলামা আইম্মাদের নিয়ে এর কঠোর প্রতিবাদ গড়ে তোলা হবে।
শুক্রবার ঢাকার পুরানা পল্টন হোটেল খানাবাসমতিতে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে “ঐতিহাসিক বদর দিবসের শিক্ষা” শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর আরো বলেন, বর্তমান প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন ২০১৬ ইং একটি নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা আইন। এ আইন বাস্তবায়ন হলে দেশ একটি নাস্তিক দেশে পরিণত হবে। ওলামায়ে কেরামকে এ ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।
সংগঠনের নগর আহ্বায়ক, প্রিন্সিপাল মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ এর সভাপতিত্বে, সদস্যসচিব মুফতী মুহিব্বুল্লাহ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব, অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ, বিশিষ্ট গবেষক ও দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক, মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর, ড. ঈসা শাহেদী, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও মাসিক আদর্শ নারীর সম্পাদক মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী, মুফতী আব্দুর রহীম কাসেমী, মুফতী রফিকুন্নবী হক্কানী, মাওলানা আব্দুর রহমান, মাওলানা ইউনুস ঢালী, মাওলানা আশরাফ উদ্দীন আরিফ ও মুফতী সিরাজুল ইসলাম প্রমূখ।