ডেস্ক : গাজার অধিবাসীদের আর্থিক সুবিধা দিতে সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে চায় ইসরায়েল। এর আওয়তায় তারা একটি কৃত্রিম দ্বীপ গড়ে তুলতে চায়। যা সংযুক্ত থাকবে গাজার সঙ্গে। আর এই দ্বপটি তৈরি করতে খরচ হবে ৫০০ কোটি ডলার।
এ ধরনের একটি প্রস্তাব নিয়ে এই মুহূর্তে তুমুল বিতর্ক চলছে ইসরায়েল সরকারের নিরাপত্তা বিষয়ক কেবিনেটে। প্রস্তাবটির প্রতি সমর্থন রয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেয়ানিয়াহুর।
তিন মাইল লম্বা একটি সেতু দিয়ে গাজার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে দ্বীপটির যোগাযোগ রক্ষা করা হবে। কৃত্রিম দ্বীপটিতে একটি বিমানবন্দর তৈরি করা হবে। জাহাজ ভেরার জন্য তৈরি করা হবে একটি সমুদ্র বন্দরও।
বিতর্কে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নেতানেয়াহুর শীর্ষ ডেপুটি ইসরায়েল কাটজ। তিনি বলেন, নিরাপত্তার প্রয়োজন ফুরালেই গাজার অবরোধ তুলে নেয়ার ব্যাপারে ইসরায়েলের কোনো আপত্তি থাকবে না।
ইসরায়েল কৃত্রিম দ্বীপটির নিরাপত্তার বিষয়টি কেবল দেখভাল করবে। এছাড়া শাসন কাজ থেকে সব কিছু পরিচালনা করবে ফিলিস্তিনী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যৌথভাবে।
কাটজ বলেন, ‘একটি জায়গায় ২০ লাখ লোককে আটকে রাখা ঠিক হবে বলে আমি মনে করি না।গাজার অধিবাসীদের জীবন আরও কষ্টকর করে তোলার ইচ্ছা ইসরায়েলের নেই। তবে নিরাপত্তা দিকটি মাথায় রেখে আমরা দ্বীপটিতে বিমান বন্দর কিংবা সমুদ্র বন্দর তৈরি করতে পারি না’
গাজার বিমান বন্দরটি ইসরায়েল ধ্বংস করে দেয় দ্বিতীয় ফিলিস্তিনী গনজাগরণের সময়। এছাড়া একটি সমুদ্র বন্দর থাকলেও কন্টেইনার জাহাজ ভেরার মতো বড় সেটি নয়।
বর্তমানে গাজায় প্রতিদিন প্রায় ৮০০ ট্রাক খাদ্য দ্রব্য পাঠানো অনুমতি দিচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু সাহায্য সংস্থা ও জাতিসংঘ বলছে, গাজার অধিবাসীদের প্রয়োজনের তুলনা এই খাদ্য দ্রব্য একেবারে অপ্রতুল।
কাটজ বলেন, তিনি আশা করছেন যে, অচিরেই প্রস্তাবটি নিয়ে কেবিটেটে ভোটাভুটি হবে।
/এআর