শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা

গ্রেফতার বাণিজ্য হচ্ছে : আশরাফ আলী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ashraf aliস্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের অভিভাবক পরিষদের চেয়ারম্যান শায়খুল হাদীস আল্লামা আশরাফ আলী বলেছেন, সাঁড়াশি অভিযানের নামে বিরোধী মতের লোক ও নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করে এক দিকে গ্রেফতার বাণিজ্য করা হচ্ছে, অপরদিকে রমজানের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

শনিবার বিকেলে মতিঝিল রহমানিয়া রুফটফ রেস্টুরেন্টে রাজনীতিবিদ, উলামায়ে কেরাম ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, কিছু দিন আগে এক মিটিং এ আমাদের শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষানীতিতে নাকি ইসলাম বিরোধী কিছু নেই। শিক্ষামন্ত্রী দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে মিথ্যা কথা বলতে পারেন না। দেশের উলামায়ে কেরাম ও ইসলামী স্কলারগণ শিক্ষানীতিকে ইসলাম বিরোধী ও ধর্মহীন বলে এর প্রতিবাদ করেছে কিন্তু উনারা তার কোনো কর্নপাত করছে না। উল্টো পাঠ্যসূচীতে শিরক, কুফরী ও হিন্দুত্ববাদ বিষয় ঢুকানো হয়েছে। বর্তমান শিক্ষনীতি ও শিক্ষা আইন ঈমান হরণ ও জাতির মেরুদন্ড ভাঙ্গার শক্ত হাতিয়ার। এই শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন ও পাঠ্য পুস্তক থাকলে ঈমান হারা করে আগামী প্রজন্ম হিন্দু ও নাস্তিকে পরিণত হবে। এটা দেশ ও ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। ৯২% মুসলমানের দেশে তা বাস্তবায়ন হতে দেয়া যায় না। সুতরাং সকল মুসলমানদের কর্তব্য তাদের আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে ধর্মহীন শিক্ষানীতি, নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষা আইন ও হিন্দুত্ববাদের পাঠ্যসূচীর বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা।

দলের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরিয়ত মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড. মাওলানা ঈসা শাহেদী, দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইসমাইল নুরপুরী, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার প্রধান মুফতি মাওলানা হিফজুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফর উল্লাহ খান, দৈনিক ইনকিলাবের সহ সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ, ইসলামী আন্দোল বাংলাদেশের যুগ্ন-মহাসচি মাওলানা এটি এম হেমায়েত উদ্দীন, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ তৈয়ব, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ন-মহাসচিব মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা শেখ লোকমান,বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, মাওলানা কোরবান আলী, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, প্রচার প্রকাশনা ও অফিস সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ সাহাবুদ্দীন, হাফেজ শহীদুর রহমান, মুফতী হাসান মুরাদাবাদী, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী,ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ হারুনুর রশীদ ও সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ আব্দুর রহীম সাঈদ প্রমূখ ।

মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ বলেন, রমজান আসে আমাদেরকে দৈহিক ও মানুষিকভাবে প্রস্তুত করতে। নিজেদের আমিত্বকে মিটিয়ে লোভ লালসা পরিহার করতে পারলেই রমজান দ্বারায় উপকৃত হওয়া যাবে। অন্যথায় রমজান আসবে যাবে আমাদের কোনো উপকারে আসবে না। রমজানের শিক্ষা হল সত্য মিথ্যার লড়াইয়ে সত্যের পক্ষে মুমিনরা নিজেদের জান এবং মালকে আল্লাহর রাস্তায় বিলীন করে দিবে।

আল্লামা আশরাফ আলী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পবিত্র রমজানকে সম্মান করুন। লাগামছাড়া দ্রর্বমূল্য কমান, নিরপরাধ গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দিন, হিন্দুত্ববাদী ও নাস্তিকদের পাঠ্যসূচী বাতিল করুন। আরা যারা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চক্রান্ত করছে ও উস্কানি দিচ্ছে এবং ভারতের হস্তক্ষেপ কামনা করছে তাদের চিহিৃত করে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে বিচার করুন।

তিনি আরো বলেন, ভারতের এটা জানা থাকা দরকার এদেশ সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের দেশ। এদেশের রাজনীতি ও ধর্মীয় ঐতিহ্য পুণরায় স্মরন করিয়ে নেয়া ভালো। তা না হলে বাংলাদেশের উপর কোনো আগ্রাসন চালালে আগ্রাসিকে কোন জায়গায় নিয়ে যাবে তা ইতিহাসই বলে দিবে। এদেশ আলেম-উলামা ওলি আউলিয়াদের পদচারনায় পুণ্যভূমি। এ ভূখন্ডে (বাংলাদেশ) আঘাত করে অতিতে কেউ পার পায়নি ভবিষ্যতেও পার পাবে না।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ